দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য আওয়ামী সিন্ডিকেট দায়ী : ড. মোশাররফ
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবদ্ধির জন্য ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে দায়ী করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজ লুটপাটকারী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্য বেশি। কারণ তারা দেশের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করছে। ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। ডলারের অভাবে ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছে না।’
আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘রমজানে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে অসহায় শিক্ষক পরিবার’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট।
সরকারের সমালোচনা করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটের জন্য ইনডেমনিটি আইন করেছে। এই সরকারের আমলে গরিব আরও গরিব হয়েছে। ধনী আরও ধনী হয়েছে। একটি গবেষণা সংস্থা বলছে বাংলাদেশে ধনী-গরিবের বৈষম্য সবচেয়ে বেশি। অথচ সরকার কথায় কথায় বলে তারা উন্নয়ন করেছে। আসলে উন্নয়ন করেছে নিজেদের লোকদের। প্রকৃতপক্ষে সাধারণ মানুষের কোনো উন্নতি হয়নি।’
ড. মোশাররফ বলেন, ‘আজকে দেশে কথা বলার ও লেখার স্বাধীনতা নেই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে তারা নির্যাতন করছে। সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই এই আইনে মামলা দিচ্ছে। দেশের মানুষের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। সুতরাং শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক সবাইকে যার যার জায়গা থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আন্দোলনে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট অগ্রণী ভুমিকা রাখবে, যাতে করে দেশের মানুষের মুক্তির জন্য টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি, যে আধুনিক ও গণতান্ত্রিক এবং মুক্তবাজার অর্থনীতির স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি রেমিটেন্স প্রবাহ কিন্তু জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল।’
শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মো. জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের টাঙ্গাইল থেকে আব্দুল আহাদ, ফরিদপুর বিভাগের অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া, কুমিল্লার আব্দুর রহমান, দিনাজপুর জেলার মঞ্জুরুল ইসলাম বুলবুলসহ শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের নেতারা।
শিক্ষক নেতারা অবিলম্বে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি জানান। সেইসঙ্গে শিক্ষকদের জীবন মানের উন্নয়নের জন্য বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবি জানান।