ধর্ষণ মামলার প্রতিশোধ নিতে ইউপি মেম্বার মামুন খুন : র‍্যাব

Looks like you've blocked notifications!
র‍্যাব মিডিয়া সেন্টার। ছবি : সংগৃহীত

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় ইউপি সদস্য মামুন হাওলাদারকে প্রকাশ্য দিবালোকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ধর্ষণের অভিযোগে বাদী হয়ে মামুন একটি মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়ে মামুনকে হত্যা করেন।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের আজ শনিবার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

র‍্যাব জানায়, ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবরের মামুন হত্যাকাণ্ড মামলায় প্রধান অভিযুক্ত গাজী সিদ্দিকুর রহমানকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। সিদ্দিকুর উপজেলার ৫ নম্বর শিয়ালকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

র‌্যাব আরও জানায়, ২০১১ সালে ধর্ষণের অভিযোগে সিদ্দিকুরের ভাই কামাল ও ভাতিজা আসাদুলের বিরুদ্ধে নিহত মামুন বাদী হয়ে মামলা করেন। ধর্ষণের শিকার ওই নারী মামুনের আত্মীয় ছিলেন। এ মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে তাঁরা মামুনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘গত ৩১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পিরোজপুরের কাউখালীর শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মামুন হাওলাদারকে প্রকাশ্য দিবালকে কতিপয় দুষ্কৃতকারী কুপিয়ে বাম পা কেটে বিচ্ছিন্ন করে, শরীর ও মুখমণ্ডল ক্ষত-বিক্ষত ও বিকৃত করে নৃশংসভাবে হত্যা করে।’

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে সিদ্দিকুর রহমানকে প্রধান আসামি করে তাঁর সহযোগীসহ আরও ১০ জন এবং অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ভাণ্ডারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘মামলার পর র‌্যাব এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দিনগত রাতে র‌্যাব-৩-এর একটি দল নারায়ণগঞ্জ সদর থানা এলাকা থেকে মামুন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও প্রধান আসামি গাজী সিদ্দিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিদ্দিকুর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন।’

জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে কমান্ডার মঈন জানান, নিহত মামুন হাওলাদার পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং শিয়ালকাঠি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য। তাঁর সঙ্গে সিদ্দিকুর, তাঁর ভাই কামাল এবং ভাতিজা আসাদুলের দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল।

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘গাজী সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতি এবং অস্ত্র মামলাসহ প্রায় ১০টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তিনি একাধিকবার কারাভোগও করেছেন।’