নওগাঁর মহাদেবপুরের শিক্ষককে শোকজ, তদন্ত কমিটি

Looks like you've blocked notifications!
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়। ছবি : সংগৃহীত

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পালকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে পাঠিয়ে শোকজ নিশ্চিত করতে বলা হয়। চিঠিতে শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনা সঠিক কি না বা কেন মারধর করা হয়, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। এরই মধ্যে ওই শিক্ষিকাকে শোকজ করতে প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ এ ছাড়া ওই ঘটনায় একটি বিভাগীয় তদন্তও করা হবে বলে জানান তিনি।

চিঠির বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ধর্মেকান্ত বর্মণ বলেন, ‘এরই মধ্যে শোকজ পত্রটি সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পালের কাছে পাঠানো হয়েছে। যেখানে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

কারণ দর্শানোর বিষয়ে শিক্ষিকা আমোদিনী পালের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পেয়েছি। দু’একদিনের মধ্যেই পত্রটির যথাযথ জবাব দেওয়া হবে।’

মারধর প্রসঙ্গে আমোদিনী বলেন, ‘৬ এপ্রিল ঘটনার দিন আমি কেবল শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তান ভেবে স্কুল ড্রেস পরে আসতে কিছুটা শাসন করেছিলাম। এর মধ্যে অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। কিছু ব্যক্তি উদ্দেশমূলক এ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন।’

এ ব্যাপারে গতকাল শনিবার রাতে মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে। তারা আগামী সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন। তখন আমরা পরবর্তী করণীয় কী, তা নির্ধারণ করতে পারব।

ইউএনও বলেন, ‘শনিবার আমি নিজে ঘটনাস্থল ও তার আশপাশে সরেজমিনে ঘুরে এসেছি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।’

প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে স্কুলটির সহকারী প্রধান শিক্ষিকা আমোদিনী পালের বিরুদ্ধে, যা পরে হিজাব বিতর্কে রূপ নিলে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়।