নওগাঁয় তালপিঠা মেলায় প্রাণের উচ্ছ্বাস

Looks like you've blocked notifications!
নওগাঁয় তালপিঠার মেলা। ছবি : সংগৃহীত

দুপাশে সবুজ খেত। তারই মাঝ দিয়ে চলে গেছে মেঠো পথ। তার দুপাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি তালগাছ। নাম তার তালসড়ক। সেই তালসড়কের একপাশে খেতের মধ্যে গোল করে খনন করা হয়েছে পুকুর। সেখানে রাখা হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা, আছে পদ্মফুল। তার চারদিক ঘিরে বসেছে স্টল। সেখানে শুরু হয়েছে তালপিঠার মেলা।

বলছিলাম নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ঘুঘুডাঙ্গার তালপিঠার মেলার কথা। আজ শনিবার সকাল থেকেই এই মেলায় ছুটে আসেন পিঠাপ্রেমীরা। শিশু-কিশোর-বৃদ্ধ; বাদ যায়নি কেউ। 

তাল পিঠা মেলার আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘তালপিঠা বাঙালির চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অংশ। ঐতিহ্য ধরে রাখতে এই তালপিঠা মেলা বিশেষ ভূমিকা রাখবে।’

দিনব্যাপী এই তালপিঠা মেলায় অংশ নিয়েছে অর্ধশতের বেশি স্টল। নানা ধরনের পিঠার পসরা বসেছে স্টলগুলোতে। দামও ছিল হাতের নাগালে। তাই, দর্শনার্থীর পাশাপাশি ক্রেতাও খুব একটা কম ছিল না। গ্রামের মানুষের কাছে এ যেন ছিল এক অন্যরকম উৎসব।

জানা গেছে, তালপিঠার উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জেলায় বসবাসকারী ওই গ্রামের অনেকে বেশ কয়েকদিন আগেই ছুটে আসেন নিজ বাড়িতে। তাদের অনেকেই থাকবেন কাল পর্যন্ত। গ্রামবাসী জানায়, সেই হিসেবে এই মেলাকে তিন দিনব্যাপী বলা যেতে পারে। কারণ, গতকাল বিকেল থেকেই এখানে লোক সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো।

মেলায় আজ এসেছিলেন নওগাঁ জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, নিয়ামতপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক সুফিয়ান, হাজিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক।

আজ অনেকটা সময় মেলায় কাটান তাঁরা। পিঠাশিল্পীরা পিঠা বিক্রির থেকে মহাসমারহে পিঠা উপস্থাপন করতে পেরে খুবই খুশি।