নওগাঁয় শিশু অপহরণের পর ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

Looks like you've blocked notifications!
অপহরণের অপরাধে র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার সালাম হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা থেকে ১১ বছরের এক শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করানোর অভিযোগে অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে জয়পুরহাটের র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৫ (র‌্যাব) ক্যাম্পের সদস্যরা।

গ্রেপ্তার ওই অপহরণকারীর নাম সালাম হোসেন (৪০)। সে নওগাঁ সদর উপজেলার বর্ষাইল গ্রামের বয়তুল আলীর ছেলে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গতকাল রাত ৮টার দিকে নওগাঁ শহরের কাঁঠালতলী এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সালামকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এসময় ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় অপহরণের শিকার ওই শিশুকে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১১ জুলাই দুপুরে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর বাজার এলাকা থেকে ওই কিশোরীকে জোর করে সিএনজিতে তুলে নিয়ে যান সালাম হোসেন ও তাঁর সহযোগীরা। এরপর একটি বাড়িতে রেখে কয়েকদিন ধরে ধর্ষণ করেন। পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে ওই বাড়িতে নিয়ে অর্থের বিনিময়ে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়। লোকজনের সন্দেহ হওয়ায় অপহরণকারী সালাম হোসেন ওই বাসা ছেড়ে অন্য বাসা ভাড়া নেন। সেখানেও ওই একই অপরাধ করেন তিনি।

পরে গত ২৫ জুলাই বাসা বদল করে নওগাঁ শহরের ভবানীপুর দক্ষিণ পাড়া মোজাফফর রহমানের বাসার নিচতলার একটি ফ্লাট ভাড়া করে কিশোরীকে নিয়ে ওঠেন এবং সেখানেও অভিযুক্ত নিজে ও টাকার বিনিময়ে অন্যান্যদের দিয়ে ধর্ষণ করান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অপহরণের পর সালাম হোসেন মেয়েটির বাবার কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চান। মেয়েটির বাবা সেই টাকা বিকাশের মাধ্যমে অপহরণকারীকে দিলে তাঁরা আরও এক লাখ টাকা দাবি করেন। পরে কিশোরীর বাবা জয়পুরহাট র‌্যাব-৫ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডারকে ঘটনাটি জানায়। এরপর গতকাল রাতে সালামকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

এ বিষয়ে পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ্ বলেন, ‘এক শিশুকে অপহরণ, ধর্ষণ ও পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগে র‌্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা অপহরণকারীকে আটক করেছে। একইসঙ্গে ওই শিশুকে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন।’