নওগাঁয় হত্যা মামলায় পাঁচ সহোদরসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন

Looks like you've blocked notifications!
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ছবি : এনটিভি

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কৃষক উজ্জল হোসেন হত্যা মামলার নয় বছর পর পাঁচ সহোদরসহ ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাদের প্রত্যেকের ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও দুই বছর করে সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বুধবার বিকেলে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ এ রায় দেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত কৌসুলি মো. আব্দুল বাকী।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, বদলগাছী উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা কামরুজ্জামান, তার ভাই ওয়াহেদ আলী, সামসুজ্জামান, রকেট ও ডাবলু এবং একই গ্রামের আব্দুল হামিদ ও তার ভাই এনামুল হক, মোশাররফ হোসেন, বজলুর রহমান ও এমদাদুল হক।

খালাস পাওয়া তিন জন হলেন, বজলুর রহমানের স্ত্রী করিমা বেগম, এনামুলের স্ত্রী জলি আক্তার ও দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা হবিবর রহমানের ছেলে মো. জীবন আহম্মেদ।

আদালত সূত্রে মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, বদলগাছী উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের একটি গভীর নলকূপের মালিকানা নিয়ে গ্রামবাসীর দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জেরে ২০১৩ সালের ৯ মে দুর্গাপুর গ্রামের কামরুজ্জামান ও তার চার সহোদরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসি উজ্জ্বল হোসেনসহ চারজনকে পিটিয়ে আহত করে। ঘটনার চারদিন পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উজ্জ্বল হোসেন মারা যান।

এ ঘটনায় দুর্গাপুর গ্রামের গভীর নলকূপ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর বদলগাছী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লেলিন আলমগীর ১৩ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। আদালত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকসহ ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে গতকাল বুধবার বিকেলে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ এ রায় দেন।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত কৌসুলি মো. আব্দুল বাকী । তিনি বলেন, ‘এই রায় থেকে অনেকেই শিক্ষা নিবেন। সেই সাথে আদালত ও দেশের আইনের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে।’

অন্যদিকে, আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, ‘এই রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’