নওগাঁ জেলা বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

Looks like you've blocked notifications!
নওগাঁয় দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা বিএনপির নেতারা। ছবি : এনটিভি

আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ ঠেকাতে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে হামলা ও মিথ্যা মামলার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ শহরের কেডির মোড় দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন নওগাঁ জেলা বিএনপির নেতারা।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও ভীতি সৃষ্টি করার উদ্দেশে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে এবং আগামীতে নিজেদের দলীয় কার্যালয়, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অথবা নিজেদের যানবাহনে কোনোরূপ ক্ষতিসাধন করে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার বিষয়টি অবগত করে জেলা প্রশাসক ও পুলিশের কাছে স্বারকলিপি দেয় জেলা বিএনপি।

লিখিত বক্তব্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক অভিযোগ করে বলেন, ‘আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে দলীয় নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ ঠেকাতে সরকার বিভিন্ন অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। গত পাঁচ দিনে নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে, নিজেরা ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উল্টো বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এ পর্যন্ত বিএনপির সাত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।’

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, ’গত বৃহস্পতিবার রাণীনগর ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন চলাকালে দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের আহত করে এবং ভাঙচুর চালায়। পরে তারাই মিথ্যা মামলা করে। ওই মামলায় সোমবার রাতে পাভেল ও মানিক নামে যুবদলের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নিজেরাই ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ করে। পরে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। একই কায়দায় সোমবার রাতে মহাদেবপুর উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগকর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ করে। পরে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়েছে। ওই মামলায় সোমবার রাতে মহাদেবপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এরশাদ আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে সোমবার বিকেলে সাপাহারে নিশ্চিন্তপুর বাজারে গণসংযোগ চালাচ্ছিল বিএনপির নেতার্মীরা। সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে বিএনপির অন্তত ১২ জন নেতকর্মী আহত হয়। পরে রাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়। ওই মামলায় রাতেই আবু বক্কর সিদ্দিক ও আব্দুল কাহার নামে বিএনপির দুজন নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, ’মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে আত্রাই উপজেলার কাশিয়াবাড়ী বাজারে বিএনপির গণসংযোগ চলাকালে সেখানে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়। এতে আত্রাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল জলিরসহ (চকলেট)  ১০ থেকে ১২ জন নেতাকর্মী আহত হন। এই হামলায় নেতৃত্ব দেন আত্রাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নওগাঁ পৌরসভার মেয়র নজমুল হক সনি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বায়েজিদ হোসেন পলাম, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক শেখ রেজাউল ইসলাম রেজু, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আজম রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।