নগরবাসীকে বিশেষ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন তাপস
আগামী সাত দিন বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে যাতে পানি জমে এডিস মশার বিস্তার না ঘটে, সেদিকে নগরবাসীকে বিশেষ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
মেয়র বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি যাতে ২০১৯ সালের মতো না হয় এবং ঢাকাবাসীর যাতে ওই সময়ের মতো ভোগান্তি না হয়, সেই লক্ষ্যেই আমরা সর্বাত্মক কার্যক্রম নিয়েছি।
আজ বুধবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সারা দেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার ১১তম আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এ কথা বলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র।
সভায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, নগরের বিভিন্ন বাসাবাড়ির ছাদে বাগান করা হচ্ছে। এ ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট জলাধারের উৎসস্থল রয়েছে। এগুলো ধ্বংস করা খুবই কঠিন। তারপরও আমাদের বিশাল কর্মযজ্ঞের কারণে ঢাকাবাসীকে এডিস মশা থেকে অনেকখানি পরিত্রাণ দিতে পারছি। আমরা এডিস মশার বিস্তারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছি।
মেয়র বলেন, আমরা আবহাওয়ার যে তথ্য পেয়েছি, আগামী সাত দিনও বৃষ্টি হবে। বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে এটা আমাদের জন্য একটি বড় প্রতিকূলতা। এ সময় সবাইকে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। আবহাওয়ার কারণে এই এলাকায় এডিস মশা বিস্তারের অভয়ারণ্য হয়ে থাকে। বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হলে এডিস মশা বেশি হয়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার কারণে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হলেও কষ্টদায়ক হলো বাচ্চারা আক্রান্ত হচ্ছে। আশা করি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে, অভিভাবকরা আরও সচেতন হবেন।
কয়েকটি দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি তুলে ধরে ঢাকা দক্ষিণের এ মেয়র বলেন, ভিয়েতনামে গত জুলাই মাসে ৩৭ হাজার ৪২০ জন ও শ্রীলংকায় ১০ হাজার ৩৭১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। ভারত এখন পর্যন্ত পরিসংখ্যান দিচ্ছে না। আমাদের এখানে চার হাজার ৫৪৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। সেখান থেকে ঠিকানা পর্যালোচনা করে দেখেছি এক হাজার ৮৩২ জন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায়। এতে ৪০ দশমিক ৩১ ভাগ রোগী শনাক্ত আমাদের এলাকায়।