নিখোঁজের ১৫ ঘণ্টা পর কর্ণফুলীতে মিলল আরেক পর্যটকের মরদেহ

Looks like you've blocked notifications!
কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ পর্যটকের মরদেহ ১৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। ছবি : এনটিভি

নিখোঁজের ১৫ ঘণ্টা পরে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় আরও এক পর্যটকের মৃতদেহ কর্ণফুলি নদী থেকে উদ্ধার করেছেন কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স-এর কর্মীরা।

কাপ্তাইয়ের সীতাঘাট এলাকা থেকে আজ সকালে অপূর্ব সাহা নামের এক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানান কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহীন আলম।

অপূর্ব সাহা (১৯) চট্টগ্রাম মহানগর মাদারবাড়ী এলাকার মৃত অরূপ সাহার ছেলে। তাঁর পৈত্রিক বাড়ি ফেনীতে। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামের মাদারবাড়ী এলাকায় বসবাস করে আসছেন।

ছয় বন্ধু চট্টগ্রাম শহর থেকে কাপ্তাই ঘুরতে এসে পানিতে গোসল করতে নেমে ঘটে বিপত্তি। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কাপ্তাই উপজেলার সীতারঘাট এলাকায় ছয় বন্ধু নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হন। গতকাল লোকেশ বৈদ্য নামের এক তরুণকে মৃত অবস্থায় এবং দিয়ান সাহা নামের একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধারের পর নিখোঁজ ছিলেন অপূর্ব সাহা।

ওয়াজ্ঞা ইউনিয়ন-এর ৯ নম্বর শিলছড়ি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সরোয়ার হোসেন জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৫টায় জেলেদের মাছ ধরার রশির টানের সঙ্গে ভেসে উঠে নিখোঁজ অপূর্ব সাহার লাশ। পরে সাড়ে ৬টার দিকে কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে লাশটি উদ্ধার করে চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

গতকাল বুধবার দুপুর পৌনে ২টায় চট্টগ্রাম থেকে আসা ছয় জনের এক পর্যটক দল সীতাঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নামলে চার জন পানিতে তলিয়ে যান। পরে দুজন পর্যটক সাঁতরে নদীতীরে উঠতে পারলেও দুজন পানিতে তলিয়ে যান।

পরে বুধবার বিকেল ৪টা ৩৯ মিনিটে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ফয়জুল ইসলাম মণ্ডলের নেতৃত্বে আট সদস্যের কাপ্তাই নৌবাহিনী ডুবুরি দলের কর্মীরা বিকেল ৫টার দিকে নিখোঁজ লোকেশ বৈদ্য (১৯) নামের এক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করেন। লোকেশ চট্টগ্রাম মহানগর সদরঘাট এলাকার অপু বৈদ্যের ছেলে।

পরে রাতে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান এবং কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন আরা রব-এর উপস্থিতিতে চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ লোকেশ বৈদ্যের লাশ তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেন।

এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার সকালে যোগাযোগ করা হলে চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, নিহত অপূর্ব সাহার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি না থাকায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা নিয়ে তাঁর লাশটি তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।