নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে না : তথ্যমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আজ শনিবার নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ছবি : সংগৃহীত

নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে না মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপির হারিকেন নিয়ে মিছিল দেখে মনে হয়, বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক বদলে হারিকেন হয় গেল কি না। আর জনগণও আশঙ্কায় আছে—হারিকেন কখন আবার পেট্রোলবোমা হয়ে যায়।’

নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে আজ শনিবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএনপির উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা চাই সব দলের অংশগ্রহণে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হোক। আমরা আশা করি, নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে। তবে, নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য দাঁড়িয়ে ছিল না। ২০২৪ সালের শুরুতেও নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে না।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আসলে বিএনপিকে নির্বাচনভীতি পেয়ে বসেছে। কারণ ২০১৮ সালে সব দলের ঐক্য করে নির্বাচন করে তারা মাত্র পাঁচটি আসন পেয়েছিল। এজন্য তারা নির্বাচনকে ভয় পায় এবং নির্বাচন নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, এই ধরনের বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে বরং জনগণের কাছে যাওয়ার জন্য।’

আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমগ্র দেশে সুসংগঠিত। আমাদের দলে তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃত্বকে মূল্যায়ন করে তাদেরকে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্বের আসনে বসানো হচ্ছে।  দলে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সারা দেশ ঘুরে আমার উপলব্ধি, দল সারা দেশে যেভাবে সুসংগঠিত, আগামী নির্বাচনেও ইনশাআল্লাহ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বিজয়ী হব। সে কারণে বিএনপি শঙ্কিত।’

জলঢাকা ডিগ্রি কলেজ মাঠে সম্মেলন উদ্বোধন করেন নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ। জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম, আব্দুল আউয়াল শামীম, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক প্রমুখ।