নির্বাচনে বিএনপি না এলেও কিছু যায় আসে না : কৃষিমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
টাঙ্গাইলের মধুপুরে শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আজ শনিবার বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। ছবি : কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে সরররাহকৃত

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য  ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘দেশে সংবিধান অনুযায়ী সময়মতো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। বিএনপি বা কেউ নির্বাচনে না এলে তাতে কিছু যায়-আসে না। তবে, আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যাতে বিএনপি নির্বাচনে আসে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই জানা যাবে, তারা নির্বাচনে আসবে কি না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’

টাঙ্গাইলের মধুপুরে শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আজ শনিবার (৭ জানুয়ারি) মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি না এলেও নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। দলীয়ভাবে না এলেও তাদের একাংশ নির্বাচনে আসতে পারে ও অন্যান্য দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আন্তর্জাতিক বিশ্ব নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি বিচার-বিশ্লেষণ করেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’

বিএনপির জন্য আওয়ামী লীগ সবসময় সংলাপের দরজা খোলা রাখবে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘যেকোনো সমস্যা সমাধানে সংলাপ সবচেয়ে ভালো উপায়। আওয়ামী লীগ সবসময় সংলাপকে স্বাগত জানাবে। তবে, সংবিধানের আলোকেই সবকিছু হতে হবে।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি দেশে আবারও অরাজকতা তৈরির সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। আন্দোলন সংগ্রামের নামে ২০১৪-১৫ সালের মতো সহিংসতার পুনরাবৃত্তি হলে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। তাদেরকে কোনো হরতাল-অবরোধ করতে দেওয়া হবে না।’

বিএনপির আন্দোলন মানেই ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিগত ১৪ বছরে বিএনপি কোনো আন্দোলনে সফল হতে পারে নি। এবারও তারা ব্যর্থ হবে, ব্যর্থ হয়ে আবারও নতুন কর্মসূচি দেবে। এই ব্যর্থ আন্দোলনের পুনরাবৃত্তি চলতেই থাকবে৷’

অনুষ্ঠানে মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, পৌর মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।