নীলফামারীতে টিকা নিবন্ধনে ৭৪ শতাংশ মানুষের অর্থ খরচ : সনাক

Looks like you've blocked notifications!
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে সনাকের মনিটরিং কার্যক্রম থেকে প্রাপ্ত ফলাফল ও সুপারিশ উপস্থাপন করেন সনাক সদস্য ফারহানা ইয়াসমিন ইমু। ছবি : এনটিভি

করোনাভাইরাসের টিকার নিবন্ধন, কার্ড প্রিন্ট এবং টিকাকেন্দ্রে যাতায়াত করার জন্য নীলফামারীর ৭৪ শতাংশ মানুষের অর্থ খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)।

আজ রোববার দুপুরে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে টিআইবি-সনাকের প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। মনিটরিং কার্যক্রম থেকে প্রাপ্ত ফলাফল ও সুপারিশ উপস্থাপন করেন সনাক সদস্য ফারহানা ইয়াসমিন ইমু।

টিকাকেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব না মানা, বসার অপর্যাপ্ত স্থান, দীর্ঘ সিরিয়াল এবং সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না থাকায় টিকাগ্রহীতারা ভোগান্তিতেও পড়েছেন বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। টিআইবি পরিচালিত কমিউনিটি মনিটরিং প্রতিবেদনে নীলফামারীতে করোনার টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

টিআইবির এরিয়া কো-অর্ডিনেটর আসাদুজ্জামান জানান, গত ১২ থেকে ১৪ ডিসেম্বর নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের টিকাকেন্দ্রে ওই মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করে টিআইবির সহযোগী প্রতিষ্ঠান সনাক।

এ সময় ওই কেন্দ্রের ৭৫ জন বুথ-ফেরত টিকা গ্রহীতার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রান্তিক পর্যায়ে টিকার ব্যাপারে জানতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ১৫ জন প্রতিনিধির সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।

সনাকের প্রতিবেদনে বলা হয়, টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ খুব কম ছিল। ৮০ শতাংশ মানুষ টিকা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতেন। টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা ছিল ৫১.৪৩ শতাংশ মানুষের। কোন কোম্পানির টিকা গ্রহণ করা হচ্ছে সে সম্পর্কে ৩১.৪৩ শতাংশ মানুষের ধারণা ছিল। তবে করোনার টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। হরিজন সম্প্রদায়ের অর্ধেকের কম (২১ থেকে ৪০ শতাংশ) মানুষ টিকা গ্রহণ করেছে। টিকা নিবন্ধনের ১৫-৩০ দিনের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই এসএমএস পেয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এ ক্ষেত্রে, দ্বিতীয় ডোজ টিকার ক্ষেত্রে ৪.৯৬ শতাংশ উত্তরদাতা ৩০ দিনের মধ্যে এসএমএস পেয়েছে উল্লেখ করলেও ৬০ দিনের মধ্যে এসএমএস পেয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা ৭.৮৫ শতাংশ ছিল।

টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়নি বলেও সনাকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

সনাকের ওই প্রতিবেদনে টিকা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ন্যায্যতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে ১২ দফা সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদন উপস্থাপন ও মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সনাকের সভাপতি তাহমিনুল হক ববী।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)  আজাহারুল ইসলাম।  বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর কবির, জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আবু-আল হাজ্জাজ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মজিবুল হাসান চৌধুরী শাহিন।