নেত্রকোনায় বাঁশের সাঁকোয় ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

Looks like you've blocked notifications!
উলুয়াকান্দা ও আন্দা গ্রামের মধ্যে ধলাই নদীর ওপর জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকো ছবি : এনটিভি

নেত্রকোনার পূর্বধলার আন্দা গ্রামে ধলাই নদীর ওপর পাকা সেতু না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২০ বছর ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল করছে দুই পাড়ের ৪০টি গ্রামের বাসিন্দা। বাঁশের সাঁকো নির্মাণের বছর যেতে না যেতেই ভেঙ্গে জরাজীর্ণ ও চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীকে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি এখানে পাকা সেতু নির্মাণ করা হোক।

ধলাই নদীর উত্তর পাশে পূর্বধলার আগিয়া ইউনিয়নের আন্দা গ্রাম আর দক্ষিন পাশে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার উলুয়াকান্দা গ্রাম। দুই গ্রামের মাঝে উলামাকান্দি পাগলবাড়ি ঘাটে এলাকাবাসী নিজেদের উদ্যোগে প্রায় ২০ বছর ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল করছেন। এই সাঁকোর নাম দিয়েছেন ‘বঙ্গবন্ধু সেতু’। সাকোঁর ওপর দিয়ে ময়মনসিংহের তারাকান্দার সুতারখাল, শান্তিপুর, বিষমপুর, নইগাও অন্যদিকে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার আন্দা, জটিয়াবর, মহিষবেড়, আগিয়াসহ ৪০টি গ্রামের হাজারো মানুষ চলাচল করে। সাঁকো নির্মাণের আগে নৌকায় চলাচল করতেন গ্রামের মানুষ। আগিয়া ইউনিয়নে রয়েছে জটিয়াবর ডিগ্রি কলেজ, আগিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা।

সাঁকোর ওপর দিয়ে প্রতিদিন মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশা ও ভ্যান চলাচল করে। এতে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে মানুষ ও ভ্যান পারাপার হচ্ছে ছবি : এনটিভি

স্থানীয় বাসিন্দা জুলহাস উদ্দিন বলেন, ‘আমরা খুব কষ্টের মধ্যে আছি। আমাদের ছেলে-মেয়েদের স্কুল, কলেজে আসা-যাওয়া করতে অসুবিধা হয়। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার কত উন্নয়ন হচ্ছে, কিন্তু আমাদের এই এলাকার কথা কেউ ভাবে না।’

পূর্বধলার আন্দা গ্রামের বাসিন্দা মো. আজিজুল হক ও সাইদুল ইসলাম আকন্দ বলেন, ‘জরাজীর্ণ সেতুটি মেরামত করলেও কিছুদিন পর আবার ভেঙ্গে যায়। সেতুর জন্য রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া যায় না। কাঁধে করে রোগী ও মরদেহ আনা-নেওয়া করতে হয়।

এ বিষয়ে পূর্বধলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘ধলাই নদীর ওপর পাকা সেতু নির্মাণের জন্য এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে। সেতুটি পাকা করা প্রয়োজন। আমি এলাকাবাসীর দাবির সঙ্গে একমত। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’