নেত্রকোনায় নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার!

Looks like you've blocked notifications!
নেত্রকোনার মদনে তিয়শ্রী ইউনিয়নের তিয়শ্রী বাজারের পাশে ডালি নদীতে বাঁধ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চলছে অবৈধভাবে মাছ শিকার। ছবি : এনটিভি

নেত্রকোনার মদনে তিয়শ্রী ইউনিয়নের তিয়শ্রী বাজারের পাশে ডালি নদীতে বাঁধ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চলছে অবৈধভাবে মাছ শিকার।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তিয়শ্রী এন এইচ খান একাডেমির নাম ব্যবহার করে চলছে ডালি নদী ও মৎস্য সম্পদের সর্বনাশ। অন্য বছরের ন্যায় এ বছরও প্রথমে বায়না ও জাল দিয়ে নদীতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং পরে সুবিধা মতো নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি শুকিয়ে চলছে মাছ শিকারের প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে পানি বরাবর মাটি দিয়ে বাঁধ তৈরির করে তার এক পাশে জাল আরেক পাশে বায়না দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ফেলেছে। এতে নদী হারাচ্ছে নাব্য। নদী শুকিয়ে মাছ শিকার করায় দেশীয় প্রজাতির মাছের ঘটছে বিলুপ্তি। এ ছাড়া শুকনো মৌসুমে ফসলের জমিতে সেচের ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয় পানির তীব্র সংকট।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙিয়ে একটি মহল লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সরকার হারাচ্ছে বিপুল রাজস্ব। ডালি নদীকে শুকিয়ে মাছ তো মারেই, একপর্যায়ে এসে ওষুধ ব্যবহার করে মাটির নিচ থেকে দেশীয় মাছ টেনে বের করে।

এ বিষয়ে এন এইচ খান একাডেমির প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস থেকে সমতা মৎস্যজীবী সমিতির নামে ১৪-১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে এ সময়ের জন্য লিজ নিই। আমাদের দ্বারা তো মাছ ধরা সম্ভব না, তাই কিছু লোক দিয়ে মাছ ধরাচ্ছি।’

মৎস্য শিকারি আলিম মিয়া বলেন, ‘আমি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকায় এক সিজনের জন্য লিজ নিয়েছি। নদীতে বাঁধ দিয়ে শুকিয়ে মাছ শিকার করব, এই শর্ত দিয়েই নদী লিজ নিয়েছি। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সবই জানেন।’

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘নদীতে বাঁধ দিয়ে বা শুকিয়ে মাছ শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আমরা দ্রুত এর ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. শাহনূর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। সরেজমিন তদন্তে তিয়শ্রী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছি।’