নেত্রকোনায় হাওরের বাঁধে ফাটল, ফসল রক্ষায় চিন্তার ভাঁজ

Looks like you've blocked notifications!
ফসল রক্ষায় ফাটল সংস্কারে জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, উপজেলা প্রশাসন, জন প্রতিনিধিসহ হাওর অঞ্চলের শত শত কৃষকরা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ রক্ষায় কাজ করছে। ছবি : এনটিভি

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বর্ষণের কারণে নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার ধনু নদীতে পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সৃষ্ট প্রচণ্ড ঢেউয়ে কীর্তনখোলা বাঁধ ফেটে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি ও বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় বোরো ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় হাওরের কৃষকরা। ফাটল ধরা বাঁধ সংস্কারে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি কাজ করছেন তাঁরা।

জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার হাওর বেষ্টিত উপজেলা খালিয়াজুরী। শুধু ফসলের ওপর নির্ভরশীল ওই হাওরাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধনু নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে খালিয়াজুরী উপজেলার কীর্তনখোলা বাঁধে ফাটল ধরেছে।

ফসল রক্ষায় ফাটল সংস্কারে জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, উপজেলা প্রশাসন, জন প্রতিনিধিসহ হাওর অঞ্চলের শত শত কৃষকরা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ রক্ষায় দিনরাত কাজ করছে। বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে বাঁশ, বালির বস্তা ইত্যাদি দিয়ে ঝুঁকিমুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

এছাড়া আরও কয়েকটি ফসলরক্ষা বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, বলছেন স্থানীয়রা।

নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমানের নেতৃত্বে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুজ্জামান জুয়েল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এফ এম মোবারক আলী, খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ এম আরিফুল ইসলামসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কীর্তনখোলা বাঁধ পরিদর্শন করেছেন।

খালিয়াজুরী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সুমন তালুকদার বলেন, ‘আগাম বন্যায় প্রতিনিয়ত ফসলহানির আশঙ্কা থাকে। চাকুয়া ইউনিয়নের কীর্তনখোলা বাঁধটি ভেঙে গেলে ফসল হারিয়ে এলাকার হাজার হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কীর্তনখোলা বাঁধটি স্থায়ীকরণের দাবি জানাচ্ছি।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত বলেন, ‘কীর্তনখোলা ও নাউটানা এলাকায় আশা বাঁধের ফাটল দেখা দিয়েছিল। তা আমরা মেরামত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ধনু নদীর পানির বৃদ্ধি এখনও অব্যাহত রয়েছে। তবে বিপদসীমার দুই সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’

জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমান বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার কারণে সৃষ্ট ঝুঁকি নিরসনে সম্মিলিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। খালিয়াজুরীতে ফসল রক্ষায় একটি পাকা বাঁধ নির্মাণ করার মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ নিরসনে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’