নড়াইলে মুক্তিপণের জন্য শিশু হত্যা, মরদেহ উদ্ধার

Looks like you've blocked notifications!
নড়াইল সদর উপজেলায় মুক্তিপণের জন্য হত্যার শিকার শিশু আরাফাতের স্বজনদের আহাজারি। ছবি : এনটিভি

নড়াইল সদর উপজেলায় অপহরণকারীরা পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণের জন্য শিশু আরাফাতকে হত্যা করেছে। গত শনিবার সকালে সে নিখোঁজ হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত শিশু আরাফাতের বাড়ি সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের বোড়ামারা গ্রামে। সে বোড়ামারা গ্রামের ওবায়দুর শিকদারের ছেলে এবং পেড়লী দাখিল মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।

পরিবারের লোকজন জানায়, আরাফাত নিখোঁজের পর অনেক খোঁজাখুঁজির করেও তার সন্ধান না পাওয়ায় ওই দিন বিকেলে সদর থানায় সাধারণ ডয়েরি করেন তারা। পরের দিন রোববার সকালে একটি মোবাইলফোন থেকে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। যে মোবাইলফোন নম্বর থেকে অপহরণকারীরা মুক্তিপণ দাবি করে পুলিশ সেই নম্বর ট্র্যাকিং করে গতকাল রাতে অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করে। পরে তাদের দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তির পরে পুলিশ আজ সকালে বোড়ামারা গ্রামের শিকদারপাড়ার বাঁশবাগান থেকে শিশু আরাফাতের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শওকত কবীর বলেন, আমাদের সহযোগিতায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলেন বোড়ামারা গ্রামের নাবিল মোল্যা (১৬) এবং একই গ্রামের মিলন মোল্যা (২১)। নাবিল মোল্যার মা-বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

শিশু আরাফাত হত্যার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এ বিষয়ে শিশু আরাফাতের বাবা বলেন, অপহরণকারীরা পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। মুক্তিপণ না দেওয়ায় তারা আমার শিশু ছেলেকে হত্যা করেছে।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পরিদর্শক শামিম জানান, আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে শিশু আরাফাতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।