পঞ্চগড়ে সংঘর্ষ : ছয় মামলায় ৮ হাজারেরও বেশি আসামি, গ্রেপ্তার ৮১

Looks like you've blocked notifications!
পঞ্চগড়ে গত শুক্রবার (৩ মার্চ) জুমার নামাজের পর আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ছবি : এনটিভি

পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় ছয়টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এ পর্যন্ত ৮১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

আজ সোমবার (৬ মার্চ) পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গুজব ছড়ানো, হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, সরকারি কাজে বাধাদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে পঞ্চগড় সদর থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে চারটি, র‌্যাবের পক্ষ থেকে একটি এবং আহমদিয়া সম্প্রদায়ের পক্ষে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় ৩১ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৮ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

জানা গেছে, পঞ্চগড়ের রাজনগর এলাকার ফজলে রাব্বী (২৮) ও তেঁতুলিয়া উপজেলার সাতমেরা এলাকার রাব্বী ইমন (২৬), রাজনগড় এলাকার ইসমাইল হোসেন ঝনু (২৫) ও তুলারডাঙ্গা এলাকার রাসেল হোসেনসহ (২৮) ৮১ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো  হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যেমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (৪ মার্চ) রাতে পঞ্চগড় সদর থানায় পুলিশের পক্ষে এসআই মাসুদ রানা, এসআই সাইদুর রহমান, এসআই সামসুজ্জোহা সরকার, এসআই আলতাফ হোসেন এবং র‌্যাব-১৩এর পক্ষে ডিএডি আব্দুস সামাদ মামলা দায়ের করেন।

এ ছাড়া আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ হাসান নিহত হওয়ার ঘটনায় তার বাবা ওসমান আলী মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে, অজ্ঞাতনামা ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।  

পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় টহল দিচ্ছে।’

পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমরা তদন্ত করে জড়িতদের গ্রেপ্তার করছি। হামলাকারীরা যে-ই হোক না কেন, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। এখন পর্যন্ত পঞ্চগড় সদর থানায় ছয়টি মামলা হয়েছে। মোট ৮১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

এদিকে, আজ সোমবার (৬ মার্চ) সকালে পঞ্চগড় পৌরসভার আহমদনগর ও বোদা উপজেলার বেংহারী বনগ্রাম ইউনিয়নের শালশিরি গ্রামে সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল আলীম মাহমুদ, এডিশনাল ডিআইজ মো. মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ প্রমুখ।