পটুয়াখালীতে বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষে আহত ৩০

Looks like you've blocked notifications!
পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ চলাকালে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় আহত বিএনপির এক কর্মী। ছবি : এনটিভি

সরকারের পদত্যাগ দাবিতে আজ শনিবার (২০ মে) সকাল ১০টার দিকে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ চলাকালে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। পরে ছাত্রদল ও আওয়ামী লীগ মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে পুলিশসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সকাল থেকেই বিভিন্ন উপজেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল শহরের বনানীস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আসতে শুরু করে। পথিমধ্যে তারা সরকারি দলের হামলার শিকার হয়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল রশিদ চুন্নু মিয়ার সভাপতিত্বে বনানী মোড়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু।

জেলা বিএনপি সমাবেশ শুরুর প্রাক্কালে এসময় নেতাকর্মীরা পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এ সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সমাবেশে হামলা শুরু করলে উভয়েই সম্মুখ সংঘর্ষ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ উভয় দলের নেতাকর্মীদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি উজ্জ্বল তালুকদারসহ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তার এড়াতে বিরোধী দলের আহতরা অনেকেই বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাঈনুল হাসান কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার কথা জানান। পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম সংঘর্ষস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পরিস্থিতি শান্ত হলেও বর্তমানে জেলা বিএনপির সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আওয়ামী লীগের হামলার প্রতিবাদে দুপুরে একটি হোটেলে জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলন করে জেলা বিএনপি। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আ. কুদ্দুস, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা এবিএম মোশারেফ হোসেন, হাসান মামুন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকারসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পটুয়াখালীতে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। সমাবেশে দলে দলে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে যোগ দিতে দেখা যায়, পরে সকাল সাড়ে দশটায় পৌরসভা মোড়ে থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়।

কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে শহরের বনানী মোরে জড়ো হন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সেখানে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় হঠাৎই দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় একে অপরের উপরে হামলা চালায় উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। জেলা বিএনপির উদ্যোগে ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে সকালে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিএনপি-জামায়াত অশুভ শক্তির সন্ত্রাস নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে একটি শান্তি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে তিতাস সিনেমা হল মোড়ে এসে শেষ হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহমদ মৃধা, সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নানসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও মহিলা লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।