পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি : র‍্যাব মহাপরিচালক

Looks like you've blocked notifications!
আজ বুধবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে বক্তব্য রাখছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ছবি-এনটিভি

র‍্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘যেখানে যেটুকু প্রয়োজন, সেটুকু শক্তি প্রয়োগ করি আমরা। একটা লোক দৌড় দিলো, ধাক্কা দিলো আর গুলি করে দিতে হবে? সিচুয়েশন যে ডিমান্ড করে সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। আমাদের দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ীই ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।’

র‍্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে বন্দুকযুদ্ধ কমেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। আজ বুধবার সকালে র‍্যাব মহাপরিচালক হিসেবে সর্বশেষ মতবিনিয়ম সভার আয়োজন করা হয় রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে। সেখানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নিষেধাজ্ঞার কারণে র‌্যাবে মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করাটা কঠিন সময় ছিল কি না এবং এ কারণে বন্দুকযুদ্ধ ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে কি না জানতে চাইলে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘আমরা তা মনে করি না। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন তোমরা এদেশের পুলিশ, এদেশেরই নাগরিক। আমাদের দেশের মানুষের বিরুদ্ধে কেন আমরা দাঁড়াব। যখন আমরা আক্রান্ত হই, মাদক বা অস্ত্র উদ্ধারের সময় অথবা মানবপাচারকারী যখন আমাদের ওপর আক্রমণ করে তখন আমরা প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। আইন যে ক্ষমতা র‌্যাবকে দিয়েছে তা আমরা ক্রস করি না।’

মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করছে র‌্যাব। কিন্তু, মাদক ব্যবহার বাড়ছে। মাদকসেবিও বাড়ছে। তাহলে মাদকের বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান ব্যর্থ কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আরও বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমরা যে যুদ্ধ করছি সেটা বৈশ্বিক যুদ্ধ, এই যুদ্ধ শুধু আমরা না, বিশ্বজুড়েই চলছে। আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাজের কারণে কারাগারে যে আসামি তার বেশিরভাগই মাদকের। প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের পর যেখানেই মাদক সেখানেই সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। শুধু র‌্যাব নয়, সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই তাদের ধরছে। মাদকের বিষয়ে সবার ঘর থেকেই সচেতনতা দরকার। সন্তান কোথায় যাচ্ছে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে অভিভাবকদের।

র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘ডিমান্ড অ্যান্ড সাপ্লাই একটার সঙ্গে আরেকটা জড়িত। এটা বন্ধে আমরা কাজ করছি। মাদক নিয়ন্ত্রণে নেই এটা বলার অবকাশ নেই। যেখানেই খবর পাচ্ছি সেখানেই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আমরা যদি মাদকের বিরুদ্ধে ব্যর্থই হতাম তাহলে কারাগারে এতো মাদকের আসামি থাকতো না। আমরা সবাই সোচ্চার হলে শিগগিরই মাদকমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা দেখতে পাবো বলে বিশ্বাস করি।’