পরীর সঙ্গে বাসায় অবস্থান : এডিসি সাকলায়েনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে
আলোচিত চিত্রনায়িকা পরী মণির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক করে বাসায় অবস্থানের অভিযোগ ওঠার পর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. গোলাম সাকলায়েন শিথিলকে সব কার্যক্রম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাঁর সরকারি মোবাইল ফোন নম্বরও জমা নেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ শনিবার বেলা পৌনে ৩টার ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রধান) এ কে এম হাফিজ আক্তার এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘যেহেতু পরী মণির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের মতো একটি অভিযোগ এডিসি গোলাম সাকলায়েনের বিরুদ্ধে এসেছে, সেহেতু ডিবি থেকে তাঁর সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। তিনি এখন ছুটিতে রয়েছেন। তাঁর মুঠোফোনটিও ডিবির কাছে জমা রয়েছে। তিনি ছুটি থেকে ফিরলে পরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘গোলাম সাকলায়েনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তরে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তারপর তদন্ত হবে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত ১ আগস্ট রাত ৮টার দিকে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে নিয়ে নিজ বাসায় অবস্থান করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এডিসি গোলাম সাকলায়েন। ওই দিনের ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ফাঁস হয়েছে। ফুটেজে দেখা গেছে, রাত ৮টার দিকে রাজারবাগের মধুমতি ভবনের সামনে থামে পরী মণির হ্যারিয়ার গাড়ি। ওই ভবনের ১০ তলায় সাকলায়েনের সরকারি ফ্ল্যাট। সাকলায়েন নিজে নেমে এসে রিসিভ করেন পরী মণিকে। এর কিছুক্ষণ পর সাকলায়েনের বাসায় প্রবেশ করেন পরী মণির খালাতো বোন ও তার স্বামী। পরে রাত ২টার দিকে পরী মণিসহ তিনজনই বের হয়ে যান বাসা থেকে।
পরী মণির সঙ্গে এডিসি গোলাম সাকলায়েনের সম্পর্ক তৈরি হয় গেল জুনে। ১৩ জুন উত্তরা বোট ক্লাবে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরী মণি।
পরদিন উত্তরা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। ওই সময় পরী মণিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় গোয়েন্দা কার্যালয়ে। তখনই পরীর সঙ্গে প্রথম পরিচয় সাকলায়েনের। এরপর সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে। সাকলায়েন ৩০তম বিসিএসের কর্মকর্তা।