পর্নোগ্রাফি মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড

Looks like you've blocked notifications!
লক্ষ্মীপুরে পর্নোগ্রাফির মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি জহিরুল ইসলাম খোকন। ছবি : এনটিভি

লক্ষ্মীপুরে পর্নোগ্রাফির মামলায় জহিরুল ইসলাম খোকন (৪৮) নামে এক আসামিকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং তা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনি জামিনে ছিলেন। রায়ের পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। 

দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত খোকনের বাড়ি সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের ঘোরারবাগ এলাকায়। তিনি প্রবাসফেরত বলে জানা গেছে। 

এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী  আসামি খোকনের সম্পর্কে ফুফাতো বোন। তাই বাদীর বাড়িতে আসামির আসা-যাওয়া ছিল। সেই সুযোগে ২০১৭ সালের প্রথমদিকে বাদীকে ঘরে একা পেয়ে জুসের সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে অচেতন করে অশ্লীল ছবি ধারণ করেন আসামি। ওই ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বাদীর আরও অশ্লীল ভিডিও ও ছবি নেন। ২০১৯ সালের ১৭ আগস্ট একইভাবে বাদীর উদ্দেশে তাঁর মায়ের মোবাইলফোন নম্বরে বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাবমূলক খুদে বার্তা (এসএমএস) পাঠান আসামি খোকন। এর ছয় মাস আগে এক প্রবাসীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের চার মাস পর তাঁর স্বামী বিদেশে চলে যান। এতে আসামি খোকন পুরোনো অশ্লীল ছবি ও ভিডিওগুলো তাঁর স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দেবেন বলে হুমকি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের জন্য কুপ্রস্তাব দেন৷ 

আসামি খোকনের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর ছবি ও ভিডিওগুলো বাদীর স্বামীর ইমো নম্বরে পাঠিয়ে দেন। তখন বাদী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এর পরও আসামির কুপ্রস্তাব অব্যাহত থাকে। একপর্যায়ে ছবি ও ভিডিওগুলো আত্মীয়স্বজনসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। পরে ২৭ নভেম্বর বাদী চন্দ্রগঞ্জ থানায় খোকনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

২০২১ সালের ২৯ এপ্রিল চন্দ্রগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এতে বলা হয়, ঢাকার মালিবাগে পুলিশের সিআইডি বিভাগের সাইবার ফরেনসিকের মাধ্যমে তিনটি মোবাইল ফোনসেট পরীক্ষা করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামিকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন।