পলাতক দুই জঙ্গিকে শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে : আইজিপি

Looks like you've blocked notifications!
রাজশাহী পুলিশ লাইনসে ‘মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী সুধী সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। ছবি : এনটিভি

ঢাকার আদালত থেকে দুই জঙ্গি পালানোর ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, কমিটির প্রতিবেদন হাতে পেলে ওই দিন কী ঘটেছিল, কারও দায়িত্ব অবহেলা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আজ বুধবার দুপুরে রাজশাহী পুলিশ লাইনসে ‘মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী সুধী সমাবেশে’ প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় পলাতক দুই জঙ্গিকে খুব শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান আইজপি।

পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, দেশে স্থিতিশীল পরিস্থিত বজায় রাখা সবার কর্তব্য। আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটনার যে চেষ্টা হয়েছিল, আবারও যদি সে ধরনের কোনো চেষ্টা আগামীদিনেও হয়; সেই আগুন সন্ত্রাসের মতো যেকোনো সন্ত্রাস রুখে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, নর্থবেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও রাজশাহী মহানগর পুলিশিং কমিটির সভাপতি প্রফেসর আবদুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্, রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, র‌্যাব ৫-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার, জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ডাবলু সরকার প্রমুখ।

সুধী সমাবেশে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এর আগে আগুন সন্ত্রাস যেভাবে মোকাবিলা করেছি, আগামী দিনেও সন্ত্রাসসহ দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হলে আমরা সেভাবেই মোকাবিলা করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছি। আমরা সবাই এক সঙ্গে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কাজ করছি। এতে আমরা জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু মাদকের ক্ষেত্রে এখনো স্বস্তি আসেনি। আমি বিশ্বাস করি, মাদকের এই সমস্যা থেকেও আমরা একদিন মুক্ত হব।’ 

আইজিপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। মাদক ও সন্ত্রাস থাকলে বিদেশি বিনিয়োগ হবে না, দেশে কেউ আসবে না। আমরা সমাজ থেকে এগুলো দূর করার জন্য একসঙ্গে কাজ করে যেতে চাই।

সুধী সমাবেশ শেষে পুলিশ প্রধান পুলিশ লাইনস প্রাঙ্গণে স্থাপিত পুলিশ জাদুঘর পরিদর্শন করেন।