পাংশার পাট্টা ইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : সংগৃহীত

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের কুম্বুলমাঠ এলাকায় এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম ফয়েজুর বিশ্বাস ওরফে ফয়েজ মেম্বার (৫০)। তিনি পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। তাঁর বাবার নাম আবদুল হামিদ বিশ্বাস। ফয়েজুরের বাড়ি পাট্টা ইউনিয়নের বিলমণ্ডপ গ্রামে। তিনি দুই সন্তানের বাবা ছিলেন। আগেও একবার তাঁকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় বছর ১০ আগে রাতে ফয়েজুর ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দেবেশ শীলকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তাঁদের ফোন করে আঁধারকোটা মোড় নামক এলাকায় ডেকে নিয়ে গুলি করা হয়। দেবেশ ঘটনাস্থলেই নিহত হন। কিন্তু প্রাণে বেঁচে যান ফয়েজুর। আজ বিকেলে তিনি বাহের মোড় নামক বাজারে ছিলেন। এ সময় তাঁর মুঠোফোনে কল আসে। ফোনে কথা বলার পর তিনি একটি ভ্যানে রওনা দেন। কিছু দূর যাওয়ার পর সাওরাইল ইউনিয়নের কুম্বুলমাঠ নামক এলাকায় পৌঁছালে কয়েকজন মুখোশধারী তাঁর গতি রোধ করে। স্থানটি বাহের মোড় থেকে আধা কিলোমিটার ও তাঁর বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে। তাঁকে ভ্যান থেকে নামিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।

পাট্টা ইউপির চেয়ারম্যান আবদুর রব মুনা বিশ্বাস বলেন, ২০১২ বা ১৩ সালের দিকে দুজন ইউপি সদস্যকে ডেকে নিয়ে গুলি করা হয়। দেবেশ নামের একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর ফয়েজুর গুলিবিদ্ধ হলেও বেঁচে যান। দীর্ঘদিন চিকিৎসা গ্রহণ করার পর তিনি সুস্থ হন। আজ তার বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে আবার তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

মুনা বিশ্বাস আরও বলেন, ফয়েজুর সক্রিয়ভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

গুলি করে ইউপি সদস্যকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ীর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সুমন কুমার সাহা। তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।’