পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ

Looks like you've blocked notifications!
রাঙামাটিতে পার্বত্য শান্তিচুক্তি যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। ছবি : সংগৃহীত

পার্বত্য শান্তিচুক্তি যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ছাত্র সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখা।

আজ রোববার বিকেলে পার্বত্য চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শহরের জিমনেশিয়াম চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষ জেলা প্রশাসনের ফটকের সামনে সমাবেশ করে।

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখা সহসভাপতি জিকো চাকমার সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুমন মারমা, পাবর্ত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির জেলা কমিটির সধারণ সম্পাদক সুমিত্র চাকমা, হিল ইউমেন্স ফেডারেশনের জেলা কমিটির সভাপতি ম্রানু মারমা, স্বাগত বক্তব্য দেন সুমন চাকমা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন- পার্বত্য চুক্তি যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়ায় জুম্ম জনগোষ্ঠী দিন দিন হতাশ হয়ে পড়ছে। উন্নয়নের দোহাই দিয়ে বাসভূমি থেকে উচ্ছেদ হচ্ছে, ভূমিহারা হচ্ছে। চুক্তির মৌলিক যে বিষয়গুলো এখনো বাস্তবায়ন হয়নি, সেগুলো নিয়ে সরকারকে আন্তরিক হতে হবে।

নেতারা আরও বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি আজ অস্থিতিশীল পরিবেশের মধ্য দিয়ে অতিকাহিত হচ্ছে। সমাবেশে আওয়ামী লীগ সরকার ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও চুক্তি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করার অভিযোগ করা হয়। সরকার চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করে চলছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সামগ্রিক মানবাধিকার পরিস্থিতি আজ চরম সংকটজনক হয়ে উঠেছে। দেশের সামগ্রিক স্বার্থেই পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নই হবে সংকট সমাধানের একমাত্র উপায়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুমন মারমা বলেন, হতাশা-ভয়ের মধ্য দিয়ে চুক্তির ২৫টি বছর পূর্তি হলো। চুক্তি বাস্তবায়নে ২৫ বছর অপেক্ষা করেছি। যদি প্রাপ্তির হিসাব করি তাহলে অপ্রাপ্তির হিসাব দীর্ঘ। দীর্ঘদিন ধরে চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া থমকে আছে। সরকারের আন্তরিকতা থাকলে ২৫ বছরেও কেন তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সরকার অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যহার না করে উল্টো র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ক্যাম্প স্থাপন করছে পাহাড়ে। এসব করে শান্তি আসবে না। পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি ফিরিরে আনতে চুক্তির পুর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সমাবেশ থেকে শান্তিচুক্তির  অতি দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণা করে পূর্ণাঙ্গ ও যথাযথ বাস্তবায়ন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন কার্যকর করা, সব অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার ও ‘অপারেশন উত্তরণ’ প্রত্যাহার করার দাবিও জানান নেতারা।