পিরোজপুরে হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

Looks like you've blocked notifications!
পিরোজপুরে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মো. বেল্লাল ব্যাপারী। ছবি : এনটিভি

পিরোজপুরের নেছারাবাদে একটি হত্যা মামলায় মো. বেল্লাল ব্যাপারী (২০) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। পিরোজপুরের দায়রা জজ মো. মহিদুজ্জামানের আদালত এ রায় দেন। এ মামলার অন্য পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুরের নেছারাবাদের দক্ষিণ সোহাগদল গ্রামের মো. শাহাদাত ব্যাপারীর ছেলে মো. বেল্লাল ব্যাপারী একই গ্রামের মো. মনির হোসেন কালুর মেয়ে বৃষ্টি বেগমকে (১৮) বাড়ি থেকে জোড় করে তুলে নিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে বৃষ্টিকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করায় একপর্যায়ে বৃষ্টি তার বাবার বাড়িতে চলে আসেন। এ বিষয়ে কয়েক বার বসা সালিশ বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় তিনি তার বাবার সঙ্গে ঢাকায় চলে যান। ২০১৬ সালের ৬ জুলাই বৃষ্টি ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে ফুফা সেলিমের বাসায় ওঠেন। ওই রাতেই বেল্লাল তার বাবা, মা, ভাই ও স্বজনসহ বেশ কয়েকজন মিলে সেলিমের বাড়িতে গিয়ে বৃষ্টিকে তুলে আনার চেষ্টা করেন। বৃষ্টি না এলে বিষয়টি সমাধানের জন্য লোকজনের সহায়তায় শাহাদাত ব্যাপারীর বাড়িতে সালিশ বসে। সালিশ চলাকালে রাত ৯টার দিকে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বেল্লাল কুঠার দিয়ে বৃষ্টির চাচা আব্দুর রহিমকে কোপ দিলে ডান বাহুতে কোপ লেগে তিনি মারাত্মক জখম হন। পরে তাকে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। পরের দিন নেছারাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। আদালতে মামলাটির সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আজ পিরোজপুরের দায়রা জজ মো. মহিদুজ্জামান এ রায় দেন।

মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট খান আলাউদ্দিন এবং আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী মামলার রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতের স্মরণাপন্ন হবেন বলে জানান।