পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদ : চার শতাধিক পরিবারের বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ

Looks like you've blocked notifications!
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এলাকায় বসবাসকারী চার শতাধিক পরিবারকে উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে শনিবার চার শতাধিক পরিবারের শতশত নারী-পুরুষ ও শিশুরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। ছবি : এনটিভি

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এলাকায় বসবাসকারী চার শতাধিক পরিবারকে উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বসবাসকারী পরিবারের শতশত নারী-পুরুষ ও শিশুরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। ‘আগে পুনর্বাসন, পরে উচ্ছেদ’ এমন দাবিতে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে তারা।

এ সময় বিক্ষোভকারী ক্ষতিগ্রস্ত আবুল, কাশেম হাং, গফ্ফার সহ অনেকেই বলেন, তারা ৬০-৭০ বছর ধরে বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাস করে আসছেন। হঠাৎ করে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন শনিবার সকালে তাদের বাড়িঘর সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। কোনো প্রকার আগাম নোটিশ না দিয়ে উচ্ছেদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। বাধ্য হয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম থেকে সরে আসে স্থানীয় প্রশাসন।

কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনির আহম্মেদ ভূইয়া জানান, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পূর্বপাশে দুই কিলোমিটার এলাকার ৭৩ একর ভূমির মালিকানা নিয়ে সরকারের সঙ্গে মনির আহম্মেদ ভূইয়া গংদের ১৯৭২ সাল থেকে মামলা চলে আসছে। এ মামলায় কখনও সরকার পক্ষ আবার কখনও পাবলিকের পক্ষে রায় দেন আদালত। ৫০ বছর ধরে এ মামলা চলে আসছে। গত ১০ নভেম্বর পটুয়াখালী জেলা জজ আদালত নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করলে জেলা প্রশাসক সরকারি জমিতে থাকা বাড়িঘর, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন নগরীতে উন্নীত করার লক্ষ্যে সরকার মেগাপ্রকল্প হাতে নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কুয়াকাটায় বেড়িবাঁধের বাইরের সকল স্থাপনা সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, কুয়াকাটায় বেড়িবাঁধের বাইরে সৈকত লাগোয়া দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সরকারি জমি। দীর্ঘ বছর ধরে ভুয়া মালিকানায় ভোগদখল করে আসছিল কতিপয় অবৈধ বসবাসকারী। আদালত কর্তৃক মালিকানা নিষ্পত্তি হয়েছে। মালিকানা নিয়ে জটিলতা নিরসন হয়েছে। এই জমি এখন সরকারের। তাই সরকারি জমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারি জমিতে যারা অবৈধভাবে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে তাদের সরে যেতে হবে। এসব অবৈধ বসবাসকারীদের বাড়িঘর সরিয়ে নেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত ভূমিহীনদের সরকার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে।