পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকলে আমদানি করা হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি আজ বৃহস্পতিবার নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। ছবি : বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে নির্ধারিত মূল্যে বাজারে চিনি বিক্রি করা হচ্ছে কিনা তা মনিটরিংয়ে আগামী সপ্তাহ থেকে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এ ছাড়া পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকলে আমদানি করা হবে বলেও জানান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ মে) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনৈতিক ও বৈশ্বিক বিষয়াবলীবিষয়ক ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মিস হেলেনা কনিগের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এসব কথা জানান।

বাজারে পেঁয়াজের দাম অল্পকিছু দিনের ব্যবধানে অনেক বেড়েছে, এ ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, ‘দাম যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হবে। দেশীয় পেঁয়াজ উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় আমদানি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাজার পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদি দাম বাড়তে থাকে তাহলে আমদানি করা হবে।’

তেলের মূল্য কমানো হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মন্ত্রণালয় থেকে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছিলাম শুল্কছাড় অব্যাহত রাখার জন্য, কিন্তু তারা তা করেননি। যার জন্য তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রয়োজনে আমরা আবার চিঠি দেব। সামনে বাজেট আছে, এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।’

এর আগে, ইইউ ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের বাজারে ২০৩২ সাল পর্যন্ত এভরিথিং বাট আর্মস-ইবিএ স্কিমের আওতায় বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় পাঁচ দশকের অংশীদারিত্ব উন্নয়ন সহযোগিতার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। ইইউর সঙ্গে বর্তমানে একটি শক্তিশালী বাণিজ্য অংশীদারিত্ব তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের মোট রপ্তানির অর্ধেকের বেশি ইইউভুক্ত দেশগুলোতে যায়।’

বৈঠকে এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং সহযোগিতা কামনা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। পণ্য বৈচিত্র্য, পণ্যের গুণমান উন্নয়ন, সার্কুলার অর্থনীতি, জ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, বাণিজ্য আলোচনার জন্য বাণিজ্য কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, মান ও মান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং বাণিজ্য সম্পর্কিত গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য ইইউ পাশে থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।