পেঁয়াজ-রসুন সংরক্ষণে দেশীয় প্রযুক্তিতে প্রস্তুত ৮০ আধুনিক ঘর 

Looks like you've blocked notifications!
পেঁয়াজের ছবি ফোকাস বাংলার

কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মাণ করেছে পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণের ঘর। যেখানে সহজেই কৃষকেরা ৩-৪ মাস পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারবেন বলে জানিয়েছি মন্ত্রণালয়টি। আজ মঙ্গলবার (২৩ মে) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি ঘরে বাতাস চলাচলের জন্য ছয়টি বায়ু নিষ্কাশন পাখা সংযুক্ত রয়েছে। মূলত ভ্যান্টিলেশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকার কারণেই সংরক্ষিত পেঁয়াজ-রসুন পচবে না। তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা পরিমাপের জন্য প্রতিটি ঘরে হাইগ্রোমিটার রয়েছে। প্রতিটি ঘরের আয়তন প্রায় ৩৭৫ বর্গফুট। এর একেকটি ঘরে ২৫০ থেকে ৩০০ মণ পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে। 

তিন স্তরের এই সংরক্ষণ ঘরের স্থায়িত্ব কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ বছর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কৃষক পর্যায়ে পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন এবং বিপণন কার্যক্রম উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ঢাকা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, পাবনা সাতটি জেলার ১২টি উপজেলায় ৩০০টি ঘর নির্মাণ করা হবে।  

আরও জানানো হয়েছে, প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সালে হতে ২০২৬ জুন পর্যন্ত। মোট বাজেট ২৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে ২০২২-২৩ সালে মোট ৮০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরে ২৫০-৩০০ মণ পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ করা যাবে।