প্রকৃতিতে প্রাপ্য অংশ থেকে কোনো দেশকে বঞ্চিত করা যাবে না : মোমেন

Looks like you've blocked notifications!
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন। এনটিভির ফাইল ছবি

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নদীসহ প্রকৃতিতে নিজেদের প্রাপ্য অংশ থেকে কোনো দেশকে বঞ্চিত করা উচিত নয়। তিনি বলেন, ‘ভৌগোলিক নদীসহ প্রকৃতির সুবিধা নেওয়ার জন্য আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, একটি দেশকে তার প্রাপ্য অংশ থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়। সবার মনে রাখা উচিত–ঘরোয়া রাজনীতির বিষয়গুলো যেন অন্য দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অনুভূতিতে আঘাত না করে।’

গতকাল বুধবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় জি-২০ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে আব্দুল মোমেন এখন নয়াদিল্লিতে রয়েছেন। তিনি বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন (ভিআইএফ)-এ ‘অভিন্ন সমৃদ্ধির জন্য শান্তির সংস্কৃতি জোরদার : দক্ষিণ এশিয়ার একটি দৃষ্টিভঙ্গি’ শিরোনামের একটি পাবলিক বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

নয়াদিল্লিভিত্তিক একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের পরিচালক  ড. অরবিন্দ গুপ্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। এতে কূটনীতিক, শিক্ষাবিদ, নীতি ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাণিজ্যের সম্ভাবনা পূরণের জন্য একটি দেশের হঠাৎ করে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা আরোপ করা উচিত নয়। কারণ, এটি প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিন এবং বিনিয়োগের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে চলে।’

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বিরাজমান বাণিজ্য বাধার কারণে বিশ্বে যেকোনো অঞ্চলের চেয়ে দক্ষিণ এশিয়ার আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্য সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে। তাই অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সমৃদ্ধির জন্য সব দেশেরই এক দেশ থেকে অন্য দেশে বিনিয়োগের ওপর বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া উচিত।’

শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ওপর জোর দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত এবং একে অপরের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থে সম্পর্ক জোরদার করার মাধ্যমে এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ সর্বোত্তম সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে পারে।’

বিভাজনের পরিবর্তে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতার শিকড় যেকোনো দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পারফরম্যান্সে বিদ্যমান ভিন্নতা নির্বিশেষে এই অঞ্চলের জনগণের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুবিধার উপলব্ধিতে নিহিত রয়েছে।

ড. আব্দুল মোমেন বলেন, ‘যেহেতু আমাদের অঞ্চলটি খুবই অস্থির এবং মাঝে মাঝে আবেগে পরিপূর্ণ, তাই বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ, সাহিত্যিক এবং সাংবাদিকসহ বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় যেকোনো নেতিবাচক প্রপাগান্ডাকে বাতিল করে এই অঞ্চলের ভালো ও মঙ্গলের জন্য সঠিক ও গঠনমূলক কর্মসূচি প্রণয়নে ইতিবাচক এবং মূল্যবান অবদান রাখতে পারেন।’