প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট নিয়ে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের ক্ষোভ
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নবনির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই মাত্র ২৭ ভোটে জয়ী হতে হয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোন অপশক্তির ওপর ভর করে ৪২৫ ভোট পেলেন? যে প্রার্থীর পক্ষে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ কিংবা কোনো দল বা কেউ তারপক্ষে নির্বাচনি মাঠে নামেনি। কোনো দিন কেউ প্রকাশ্যে ভোটও চায়নি। ছিল না নির্বাচনি কোনো অফিস। তাহলে এতগুলো ভোট কীভাবে পেলেন তিনি? প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সঙ্গে আমাকে ভীষণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিততে হয়েছে। তাহলে কোন শক্তির বলে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমাকে প্রায় খেয়েই ফেলেছিল? শুধু আমিই নই, জেলার সব নেতাকর্মীও হুমকির মধ্যে পড়ে গিয়েছিল।
গোলাম মহীউদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, ছোট্ট হলেও আমাদের মধ্যে মতভেদ আছে, ক্ষীণ হলেও আমাদের মধ্যে অনৈক্য আছে। এভাবে অনৈক্য চলতে থাকলে আগামী ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে কীভাবে এমপিদের জয়ী করব?
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গে সভায় উপস্থিত দলের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে সভায় তুমুল ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। পরে দলের সহসভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের জেলা পরিষদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কে এম ফজলুল হক খান রিপন ভোট পেয়েছিলেন মাত্র ৫০টি। আর এবার তিনি নির্বাচনে নিষ্ক্রিয় থেকেও ভোট পেয়েছেন ৪২৫টি।