বরিশালে হজে পাঠানোর কথা বলে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর পরিচয়ে এক প্রধান শিক্ষকের কাছে ৭৫ হাজার টাকা চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বজন ছাত্রলীগ নেতা হিমু বাদী হয়ে শুক্রবার বিকেলে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউনিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও সদর আসনের সংসদ সদস্য কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক শামীম পরিচয়ে বৃহস্পতিবার সকালে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগমের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে এক প্রতারক কল দেয়। তাকে জানানো হয় যে, তিনি একজন সৌভাগ্যবান ব্যক্তি। তাকে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে সরকারিভাবে হজে পাঠানোর জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। এসময় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী পরিচয়ে আরেকজন ব্যক্তি শিক্ষক খাদিজাকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৭৫ হাজার টাকা পাঠাতে বলে। টাকা পাঠানোর পর ওই দিনই বিকেল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে বরিশাল সার্কিট হাউসে আসার আমন্ত্রণ জানায়। সেখানে হজে গমনে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৬০ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করা হবে।

এরপর প্রধান শিক্ষক খাদিজা টাকা না পাঠিয়ে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর এপিএস শফিকুল ইসলাম পিন্টুর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানতে পারেন তিনি প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন।

এ ঘটনায় ভূক্তভোগীর স্বজন বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আসিফ মাহমুদ হিমু মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউনিয়া থানায় বৃহস্পতিবার বিকেলে সাধারণ ডায়েরি করেন।

কাউনিয়া থানার ওসি এআর মুকুল বলেন, প্রযুক্তির সহায়তায় বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কেউ টাকা চাইলেই যাচাই না করে কেউ যেন লেনদেন না করেন।

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, তার বিরুদ্ধে এটি একটি পরিকল্পিত চক্রান্ত।

এ ধরনের কোনো প্রলোভনে বরিশালবাসীকে সাড়া না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তার (প্রতিমন্ত্রী) পরিচয়ে কেউ টাকা চাইলে সরাসরি আমার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।