প্রতীক বরাদ্দের সময় হামলা-ভাঙচুর,পুলিশসহ আহত ৮

Looks like you've blocked notifications!
নড়াইলে জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের সময় জেলা প্রশাসকের হলরুমে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা। ছবি : এনটিভি

নড়াইলে জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের সময় জেলা প্রশাসকের হলরুমে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ে আহত হয়েছে পুলিশসহ আটজন।

জানা গেছে, আজ সোমবার বেলা ১১টার সময় নড়াইল জেলা প্রশাসকের হলরুমে প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়। প্রথমে সংরক্ষিত মহিলা, পরে পুরুষ ওয়ার্ডের প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়। পুরুষ ২নং ওয়ার্ডের প্রতীক বরাদ্দ শুরু হলে খোকন কুমার সাহা ও ওবায়দুর রহমান দুই প্রার্থীই তালা মার্কা চান। নির্বাচনী বিধান অনুযায়ী একই মার্কা দুজন চাইলে লটারির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রাক্কালে খোকন কুমার সাহা ওবায়দুর রহমানকে জেলা প্রশাসকের হলরুমে প্রকাশ্যে সব কর্মকর্তার সামনে গালাগালি করে মুখে ঘুষি মারলে তিনিও ঘুষি মারেন।

এদিকে অপর প্রান্তে জেলা প্রশাসকের হলরুমের পূর্বপাশে সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর প্রস্তাবকারী নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম ও সমর্থনকারী কাশীপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য সৈয়দ নওয়াব আলী বসে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করে সরদার আলমগীর হোসেনের সমর্থক বাঁধন রায়, পারভেজ, জয়, সাদিসহ অনেকে আচমকা গিয়ে বেধড়ক মারপিট শুরু করেন। এ সময় তারা জেলা প্রশাসকের হলরুমের চেয়ারও ভাঙচুর করেন।

এ বিষয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু বলেন, আমার অনুপস্থিতিতে আমার প্রতীক আনতে যান আমার প্রস্তাবকারী, সমর্থনকারীসহ আমার পক্ষের লোকজন। জেলার সর্বোচ্চ নিরাপত্তাস্থল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আমার লোকজনকে মারপিট করেছে। এতে আমার প্রস্তাবকারী নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম ও সমর্থনকারী কাশীপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য সৈয়দ নওয়াব আলী, নোয়াগ্রাম সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুল কালু, শামুকখোলা গ্রামের কামাল কাজী, লাবু কাজী, জাকির কাজী আহত হন। আমি মামলা করব এবং এর উপযুক্ত বিচার চাই।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুবাস বোস বলেন, আমি আনারস প্রতীক চেয়েছি। ওদিকে সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুও আনারস চেয়েছেন। তখন লিটুর লোকজন বলে ওঠে, আমরা যদি আনারস না পাই তাহলে কেন এসেছি। এ কথা শোনার পর আমার লোকজনের সঙ্গে সামান্য হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি হয়।

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন হামলা মারামারি ও ভাঙচুরের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান স্যারের নির্দেশে কিছু সময় প্রতীক বরাদ্দের কাজ বন্ধ রাখি। পরে আপস হলে কার্যক্রম সমাপ্ত করি।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে কাউন্সিলর প্রার্থী ওবায়দুর রহমান ও খোকন কুমার সাহাকে শোকজ করা হবে এবং নির্বাচন কমিশনে জানানো হবে।

বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর লোকজনের ওপর হামলা ও হলরুমের চেয়ার ভাঙচুরের বিষয়ে বলেন, প্রার্থী যদি লিখিত অভিযোগ করে তাহলে আমরা বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।