প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনি এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি হলেন শহীদ উল্লা খন্দকার

Looks like you've blocked notifications!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনি এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি মো. শহীদ উল্লা খন্দকার। ছবি : এনটিভি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনি এলাকা গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) এর উন্নয়ন কাজে তার পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করবেন মো. শহীদ উল্লা খন্দকার। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ মনোনয়নের কথা জানানো হয়েছে। 

আদেশে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে ব্যস্ততার জন্য জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচনি এলাকা ২১৭ গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) এর উন্নয়ন কার্যক্রমে আমার পক্ষে দায়িত্ব পালনের জন্য মো. শহিদ উল্লা খন্দকারকে প্রতিনিধি মনোনয়ন প্রদান করা হলো।

মো. শহীদ উল্লা খন্দকার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। তিনি ২৭ আগস্ট ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

শহীদ উল্লা খন্দকার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার নারিকেলবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নারিকেলবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, বিএম কলেজ থেকে এইচএসসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন করেন। শহীদ উল্লা ২১ জানুয়ারি ১৯৮৬ সালে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে চাকরিতে যোগদান করে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে সহকারী কমিশনার, উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট, কগনিজেন্স ম্যাজিস্ট্রেট, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর ও থানা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সরকারি বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি উপসচিব, যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সালে পদোন্নতি পেয়ে ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে যোগদান করেন।

২ মার্চ ২০১৫ সালে সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সালে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। এরপর ১৫ মার্চ ২০১৬ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে অবসরোত্তর ছুটির পর ২৭ আগস্ট ২০১৯ সালে পুনরায় তাকে একই মন্ত্রণালয়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। পাঁচবছর চুক্তিভিত্তিক দায়িত্ব পালনের পর ২০২২ সালে তিনি অবসরে যান।