প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের টাইমস্কেল নিয়ে আপিল খারিজ

Looks like you've blocked notifications!
হাইকোর্ট। ছবি : সংগৃহীত

২০১৩-২০১৪ সালে সারা দেশে সরকারি হওয়া (অধিগ্রহণকৃত) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইমস্কেলের টাকা ফেরতের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপলি বিভাগ। 

আজ সোমবার হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম ।  

পরে আইনজীবী মোকছেদুল ইসলাম বলেন, সোমবার মামলাটি শুনানির জন্য ৫৫ নম্বর তালিকায় ছিল। শুনানি শেষে আদালত শিক্ষকদের আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। এই আদেশের ফলে শিক্ষকদের প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে যেতে হবে বলেও জানান মোকছেদুল ইসলাম।

২০২১ সালের ১ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শিক্ষকদের করা রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন। ফলে ২০১৩-২০১৪ সালে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকদের টাইমস্কেলের সুবিধা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র টিকে যায়। গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকদের টাইমস্কেলের সুবিধা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র নিয়ে ওই রুল করেন হাইকোর্ট। সে রুলের শুনানি শেষ হয় গত ২৮ মার্চ।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম বলেন, এর আগে বেসরকারি থেকে সরকারি হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের টাইমস্কেল সুবিধা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সংক্ষুব্ধ শিক্ষকরা রিট করেন। তখন হাইকোর্ট বিভাগ পরিপত্র স্থগিত করে রুল জারি করেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। একপর্যায়ে ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন।

পরে স্থগিতাদেশ তুলে দিতে শিক্ষকরা আপিল বিভাগে আবেদন করেন। এরপর চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তিন সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে রিট মামলাটি নিষ্পত্তি করতে বলেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ মার্চ আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।