প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, গ্রেপ্তার ৩

Looks like you've blocked notifications!
পঞ্চগড় থানা। ফাইল ছবি

পঞ্চগড়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে দুই পরীক্ষার্থীসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষার পর রাতেই তাঁদের আটক করে পুলিশ। পরে পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনে করা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। 

গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিরা হলেন—ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার গণউন্নয়ন সমবায় সমিতির পরিচালক বেলাল উদ্দীন (৩৮), প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার পরীক্ষার্থী পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার বড়দাপ এলাকার মোকসেদুর রহমান (২৮) ও একই উপজেলার ছোটদাপ এলাকার আহসান হাবিব (২৮)। 

পুলিশ ও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর মধ্যে পরীক্ষার্থী মকসেদুর রহমান ও আহসান হাবিবের মৌখিক পরীক্ষার সময় হাতের লেখার সঙ্গে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়া হাতের লেখার অমিল পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন তাঁরা। প্রায় ১৮ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রক্সি পরীক্ষার্থীর মাধ্যমে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করে দেওয়ার চুক্তির কথাও স্বীকার করেন তারা। আর এ জালিয়াতির মূল হোতা ছিলেন বালিয়াডাঙ্গীর গণউন্নয়ন সমবায় সমিতির পরিচালক বেলাল উদ্দীন। পরে কৌশলে তাঁকে ডেকে নিয়ে তিনজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তিনজনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। বর্তমানে তারা থানার হাজতে আছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার হয়েছে। আজই আদালতে পাঠানো হবে।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সময় তাদের হাতের লেখা দেখে প্রাথমিকভাবে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপরাধ স্বীকার করেন। এ জন্য তাদের আটক করে রাখা হয়। সবার পরীক্ষা শেষে কৌশলে নিয়োগ পরীক্ষায় এমন জালিতির মূল হোতা বেলাল হোসেনকে ডেকে এনে তিন জনকেই পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।’