প্রেমিকার টিকটক নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে প্রাক্তন নিহত
নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রেমিকার টিকটক আইডিকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের জেরে প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে প্রাক্তন প্রেমিক শরিফ মিয়া (২১) নিহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গত মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকেলে মনোহরদীর চন্দনপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন শরিফ। তার বাড়ি চালাকচর ইউনিয়নের বাঘবের গ্রামে।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, স্থানীয় বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল নিহত শরিফের। শরিফ বিদেশে যাওয়ার পর চন্দনবাড়ী ইউনিয়নের চন্দনপুর গ্রামের শাকিলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায় মেয়েটি। শাকিল তার প্রেমিকার টিকটক আইডি থেকে বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর ভিডিও আপলোড দিত। এ নিয়ে প্রেমিক শাকিল ও প্রবাস ফেরত সাবেক প্রেমিক শরিফের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। শরিফ গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার চন্দনপুর গ্রামে শাকিলকে টিকটক আইডিতে আপত্তিকর ভিডিও ছাড়তে নিষেধ করেন এবং আইডির পাসওয়ার্ড চান। শাকিল তা দিতে অস্বীকার করেন এবং ছুরি দিয়ে শরিফকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এতে শরিফ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা শরিফকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তার অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢামেক হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়। এতে নিহতের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।
নিহতের বাবা মফিজ উদ্দিন বলেন, “ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। খুনিদের ছুরির আঘাতে সব শেষ হয়ে গেল। আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে, আমি তাদের বিচার চাই।”
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন বলেন, “প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর নিহতের চাচা মহিউদ্দিন বাদী হয়ে শাকিলকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন। শরিফের মৃত্যুতে সেই মামলা হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।”