ফরিদপুরে বিএনপির পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

Looks like you've blocked notifications!
ফরিদপুরের কোর্ট চত্বরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশে গত রোববার পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ধস্তাধস্তি। ছবি : এনটিভি

ফরিদপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে হামলার ঘটনায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাসহ পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ ফকির বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।

মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল ও কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফসহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা, যুগ্ম আহ্বায়ক আজম খান, সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া স্বপন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, জেলা মহিলা দলের সভাপতি নাজরিন রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি ভিপি ইউসুফ, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহরিয়ার শিথিল, বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের প্রথম সারির ৩২ জনের নাম উল্লেখসহ আরও চার থেকে পাঁচশ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা করে চার-পাঁচ জন পুলিশ সদস্যকে আহত করা, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী বলেন, ‘রোববার বিকেলে বিনা উস্কানিতে পুলিশের প্রশ্রয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা হামলা চালিয়ে আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীদের আহত করেছে। এখন তাঁরাই উল্টো আহতদের আসামি করে মামলা করেছে। এর মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হয়েছে পুলিশ এখন আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর ভূমিকায় নেই। তারা সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয়দাতা বাহিনী হয়ে উঠেছে।’

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, ‘রোববার বিকেলে আদালত চত্বরের সমাবেশ থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর ইট ছুড়ে মারে। এতে চার থেকে পাঁচ জন পুলিশ আহত হন। এসময় পুলিশের একটি গাড়ির কাচ ভাঙা হয়। পুলিশের সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ’

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ‘রোববার বিকেলে পুলিশের ওপর বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলার ভিডিও ফুটেজ দেখে যাঁদের সনাক্ত করা গেছে, মামলায় তাঁদের আসামি করা হয়েছে। ভিডিওতে যাঁদের চেনা সম্ভব হয়নি, তাঁদের পরিচয় খোঁজা হচ্ছে। তবে সোমবার পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।’

এর আগে, গত রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহরের কোর্ট চত্বরে বিকেলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে প্রথমে পুলিশের বাঁধা ও নেতাকর্মীদের গাড়িতে তুলে নেওয়ার চেষ্টার পর পুলিশের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের হামলায় কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা, সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া স্বপন সহ বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের কমপক্ষে ৩০ জন গুরুতর আহত হন বলে বিএনপি নেতারা এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় শহিদুল ইসলাম বাবুলকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ আহত অনেকেই এখন হাসপাতালে ও বাসায় চিকিৎসাধীন।