ফরিদপুরে স্ত্রীর মামলা খারিজ, দুধ দিয়ে গোসল করলেন স্বামী

Looks like you've blocked notifications!
এক মণ দুধ দিয়ে গোসল করলেন ফরিদপুরের মো. সিরাজ শেখ। ছবি : এনটিভি

এক মণ দুধ দিয়ে গোসল করে এলাকায় হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বাইখির গ্রামের মো. সিরাজ শেখ (৩৩)। মামলা-মোকদ্দমা চলার পর স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার খুশিতে তিনি দুধ দিয়ে গোসল করেন বলে জানা গেছে।

অটোভ্যানের গ্যারেজ মালিক সিরাজ শেখ বাইখির চৌরাস্তা এলাকার মুজিবর শেখের ছেলে। তিনি আজ শুক্রবার (১২ মে) বিকেলে বাইখির চৌরাস্তার পাশে নিজ বাড়ির সামনে তে-মাথায় বড় সসপেনে করে এক মণ দুধ দিয়ে গোসল করেন।

জানা যায়, মো. সিরাজ শেখ প্রেম করে একই এলাকার আফসার শেখের মেয়ে ইতি বেগমকে (২৮) বিয়ে করেন। ১৩ বছরের সংসার জীবনে তাদের ১১ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। কিন্তু সংসার জীবনের সুখ তাদের সয়নি।

এক অভিযোগে জানা গেছে, স্ত্রীর বেপরোয়া চলাফেরার কারণে হঠাৎই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ইউনিয়ন পরিষদেও একাধিকবার শালিস হয়। এরপর দুই বছর আগে আদালতে মামলা হয়। উভয়ে একে অপরের নামে মামলা করে। স্বামী-স্ত্রীর ছাড়াছাড়ির মধ্য দিয়ে ৯ মে মামলার নিষ্পত্তি হয়। মামলা নিষ্পত্তি করতে সিরাজ শেখের প্রায় ১৪ লাখ টাকা খরচ হয়। মামলা নিষ্পত্তি এবং স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হলে তিনি আজ এক মণ দুধ দিয়ে গোসল করবেন এবং ওমরাহ হজ্জ পালন করবেন বলে এক বছর আগে তিনি নিয়ত করেন।

বাইখির এলাকার বাসিন্দা জেলা পরিষদ সদস্য আহসান হাবিব হাসান বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবত স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি বিরাজ করছিল। আদালতে মামলা চলছিল। শেষ পর্যন্ত আদালতের মাধ্যমে স্ত্রীর ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ায় সে নিয়ত অনুযায়ী এক মণ দুধ দিয়ে গোসল করেছে।’

এ বিষয়ে মো. সিরাজ শেখ বলেন, ‘বিয়ের পর কয়েক বছর সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করছিলাম। তারপর হঠাৎ করেই স্ত্রীর আচরণ পরিবর্তন হতে শুরু করে। ক্রমান্বয়ে অশান্তি বাড়তে থাকে। সে আমার নামে মামলা মোকদ্দমা করে হয়রানি করতে থাকে। মামলা চলার একপর্যায়ে নিয়ত করি, স্ত্রীর হাত থেকে মুক্তি পেলে এক মণ দুধ দিয়ে গোসল করব এবং ওমরাহ হজ্জ পালন করব। প্রথম পর্যায়ে দুধ দিয়ে গোসল করে নিয়ত পূর্ণ করলাম।’

চতুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সিরাজ শেখ ছেলে হিসেবে ভাল, কিন্তু তার স্ত্রী বেশি একটা সুবিধার না। তাদের বিষযে একাধিকবার শালিস করা হয়েছে। পরে উভয়েই আদালতে মামলা করলে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।’