ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম, সম্পাদক আরিফ

Looks like you've blocked notifications!
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে শামীম হককে সভাপতি (বামে), ইশতিয়াক আরিফকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ছবি : সংগৃহীত

ফরিদপুরে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে শামীম হককে সভাপতি এবং ইশতিয়াক আরিফকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে নতুন এ কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। শহরের রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সম্মেলনের দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ এ নাম ঘোষণা করেন। এ সময় আরেক সভাপতি পদপ্রার্থী বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বিপুল ঘোষকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত করা হয়।

এর আগে ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী  ওবায়দুল কাদের আগামী নির্বাচনে দলকে সংগঠিত করার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এ দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের বাঁচাতে হলে, আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হলে, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে, দেশের অর্জনকে বাঁচাতে হলে, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। সংগ্রামী, সৎ ও পরীক্ষিতদের নেতৃত্বে আনতে হবে। যারা নৌকার বিরোধিতা করেছে তাদের কোনোভাবেই নতুন কমিটিতে রাখা যাবে না।

ফরিদপুরের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফরিদপুরে অনেক রক্তপাত হয়েছে। আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। এদের চিহ্নিত করতে হবে। এর পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে।

ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাজাহান খান এমপি ও আব্দুর রহমান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজি, ইকবাল হোসেন অপু ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।

ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা। সম্মেলনে নয় উপজেলা, ছয়টি পৌরসভা থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার নেতাকর্মী সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানো হয়।

কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই সিদ্ধান্তে হতাশা ব্যক্ত করে নেত্রীর কাছে পরিবর্তনের দাবি জানান।