ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইন্সুরেন্সের সিইও হেমায়েত উল্ল্যাহর চার বছরের কারাদণ্ড

Looks like you've blocked notifications!

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইন্সুরেন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. হেমায়েত উল্ল্যাহ ও তার স্ত্রী ফরিদা আক্তারকে পৃথকভাবে চার বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে উভয়কে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশেষ জজ-৮ এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভূঁঞা এ রায় দেন। মামলার শুরু থেকেই উভয় আসামি পলাতক রয়েছেন।

রায়ে বলা হয়, আসামি ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইন্সুরেন্সের প্রধান নির্বাহী মো. হেমায়েত উল্ল্যাহ ও তার স্ত্রী ফরিদা আক্তার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন করায় দুদক আইনের ২৬ (২), ও ২৭ (১) ধারা ও দন্ডবিধির ১০৯ ধারা মোতাবেক উভয়কে পৃথক পৃথকভাবে মোট চার বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হলো। এ ছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা প্রদান করা হলো।                

মামলার বিবরণে জানা যায়, ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইন্সুরেন্সের প্রধান নির্বাহী মো. হেমায়েত উল্ল্যাহ ও তার স্ত্রী ফরিদা আক্তারের বিরুদ্ধে মোট ৬ কোটি ৪২ লাখ ৭৫ হাজার ৫৪৮ টাকার অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৯ সালের ২৫ জুলাই এ অভিযোগে দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন মৃধা বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে ২০২১ সালে অভিযোগ দাখিল করা হয়। 

দীর্ঘদিন শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেন। মামলার আভিযোগে বলা হয়, হেমায়েত উল্ল্যাহ অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন করে স্ত্রীর নামে বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করেন। তাঁর স্ত্রী গৃহীনি হলেও দুদকে নোটিশের জবাবে ব্যবসায়ী হিসেব প্রদর্শন করা হয়।

এদিকে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর একই কারণে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সিইও মো. হেমায়েত উল্ল্যাহকে ওএসডি করে প্রতিষ্ঠানটি।