ফারদিনের মৃত্যু : ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যা বললেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা

Looks like you've blocked notifications!
ডিবি কার্যালয়ে থেকে ফিরে আজ বৃহস্পতিবার বুয়েট শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর তদন্তের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয়টির বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে যান। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনাকে আত্মহত্যা উল্লেখ করে এর কারণ বর্ণনা করেন। পরে বুয়েট শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে ডিবি তাদের কার্যালয়ে গিয়ে তথ্যপ্রমাণ ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখার অনুরোধ করলে শিক্ষার্থীরা আজ সেখানে যান।

এ বিষয়ে এক বুয়েট শিক্ষার্থী বলেন, ‘ডিবি প্রধান সূত্রে জানানো হয়েছে যে ফারদিনকে হত্যা করা হয়নি, সে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল ডিবি কর্তৃক দেওয়া এই তথ্য জানার পর আমরা মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দিই৷ এরপর ডিবি অফিস থেকে আমাদেরকে তাদের তদন্তকৃত সকল তথ্যপ্রমাণ দেখতে বলা হলে আমরা  ডিবি কার্যালয়ে যাই।’

ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনায় ডিবির তদন্তের সকল তথ্যাদি দেখে এক বুয়েট শিক্ষার্থী জানান, ‘ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে আমরা আলামতগুলো দেখেছি। সব পর্যবেক্ষণ করে আমরা ঘটনার প্রাসঙ্গিকতা দেখতে পেয়েছি। তারা বিষয়টি নিয়ে অনেক কাজ করেছে বলে আমাদের মনে হয়েছে। তবে কিছু বিষয়ে সমস্যা মনে হয়েছে, এগুলো তারা  সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে আমরা আশাবাদী।’ 

বুয়েটের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ফারদিনকে ব্রিজের পাড়ে নামিয়ে দেওয়ার পর হেঁটে সে ব্রিজের মাঝখানে গিয়েছে। সে সময় তাঁর সঙ্গে আর কেউ ছিল কি না বা কেউ তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে কি না, তা একটু অস্পষ্ট।’

গত ৪ নভেম্বর রাতে রাজধানীর রামপুরা থেকে নিখোঁজ হন ফারদিন। এরপর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করার পর ৯ নভেম্বর রামপুরা থানায় ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনের নামে একটি মামলা (নম্বর-৯) দায়ের করেন।