২০টি স্বর্ণের বার লুটের মামলা

ফেনী ডিবির ওসি আবার ৪ দিনের রিমান্ডে, মামলা পিবিআইয়ে

Looks like you've blocked notifications!
এক ব্যবসায়ীকে আটক করে ২০টি স্বর্ণের বার লুটের মামলায় ফেনী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সাইফুল ইসলামের (ইনসেটে) চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ফাইল ছবি : এনটিভি

এক ব্যবসায়ীকে আটক করে ২০টি স্বর্ণের বার লুটের মামলায় ফেনী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলামের ফের চার দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

আসামির চার দিনের রিমান্ড শেষ হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন আজ রোববার বিকেলে তাঁকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালতের বিচারক ফেনীর সিনিয়র জ্যুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট কামরুল হাসান চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গতকাল শনিবার অপর পাঁচ পুলিশ সদস্যের তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান মামলার তদন্ত কমকর্তা।  আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

২০টি স্বর্ণের বার লুটের মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেনী জেলা পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী।

এদিকে লুটের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় ভুট্টু নামে চট্টগ্রামের এক পুলিশের সোর্সকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসানের আদালতে হাজির করা হয়েছে৷

অন্যদিকে রিমান্ডে থাকা মামলার পাঁচ আসামিকে ফেনী মডেল থানা থেকে পিবিআই গ্রহণ করে তাদের কার্যালয়ে নিয়েছে।

স্বর্ণ লুটের মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৮ আগস্ট রোববার রাতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে ফেনীর ফতেহপুর ফ্লাইওভারের নিচে চট্টগ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাসকে আটক করে ২০টি স্বর্ণের বার ছিনিয়ে নেয় ডিবি পুলিশ।

গোপাল কান্তিদাস এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডিবি পুলিশের ওসি সাইফুল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাহার হোসেন, মিজানুর রহমান ও নুরুল হক এবং সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) অভিজিৎ বড়ুয়া ও মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করে ফেনী মডেল থানা পুলিশ।

গোপাল কান্তি দাস সাংবাদিকদের বলেন, ২০টি স্বর্ণের বারের মূল্য এক কোটি ২৪ লাখ টাকা।