ফ্রি ফায়ার খেলাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্র নিহত

Looks like you've blocked notifications!
শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌরসভায় ফ্রি ফায়ার খেলাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে নিহত স্কুলছাত্র সিজান আকন। ছবি : এনটিভি

শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌরসভায় ফ্রি ফায়ার খেলাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে সিজান আকন (১৭) নামের এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম লোংসিং মাদবর বাজার এলাকায় তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

স্থানীয়রা উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ সময় সিজানের দুই বন্ধুও ছুরিকাঘাতে আহত হয়। তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

নিহত সিজান নড়িয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম লোংসিং গ্রামের বিল্লাল আকনের ছেলে। সে নড়িয়া বিহারীলাল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।

আহত মুন্না ছৈয়াল (১৯) একই গ্রামের আবুল ছৈয়াল ছেলে। সে মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ও আসিফ ব্যাপারি (১৮) ওই গ্রামের আবদুর রব ব্যাপারির ছেলে। সে নড়িয়া উপসী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।

পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নড়িয়া পৌরসভার পশ্চিম লোংসিং মাদবর বাজারে বন্ধুদের নিয়ে ফ্রি ফায়ার গেম খেলছিল সিজান আকন। এ সময় স্থানীয় লাবিব ছৈয়াল (২৫) ও তার বন্ধু ইব্রাহিম জয় (২২), রাহিম হাওলাদার (২৪), নাহিম ছৈয়ালও (২২) গেম খেলছিল। তখন খেলা নিয়ে সিজান ও লাবিবের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে লাবিব সিজানকে বুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। তাকে উদ্ধার করতে এলে সিজানের বন্ধু মুন্না ছৈয়াল ও আসিফ ব্যাপারী আহত হয়। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিজান আকনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত মুন্না ও আসিফ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় রাতেই ইব্রাহিম জয় ও রাহিম হাওলাদারকে আটক করেছে নড়িয়া থানা পুলিশ।

নড়িয়া পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি মোতালেব ব্যাপারী বলেন, লাবিব ছৈয়াল, ইব্রাহিম জয়, রহিম হাওলাদার, নাহিম ছৈয়ালসহ কয়েকজন মিলে সিজান আকনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের শাস্তি দাবি করছি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।