বই পড়া মানুষকে অনন্ত সুখ ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয় : তাজুল ইসলাম

Looks like you've blocked notifications!
জাতীয় গ্রন্থাগার ও সাহিত্য সম্মেলন ২০২৩ উপলক্ষে রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ছবি : এনটিভি

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, অতীতে দেশ দখল করে সম্পদ অর্জন করা হতো। বর্তমানে তার আর দরকার হয় না, এখন জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে সম্পদশালী হওয়া সম্ভব।

জ্ঞানই আলো এবং সমৃদ্ধির উৎস জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জ্ঞানের আধার হচ্ছে বই এবং লাইব্রেরি।’

আজ শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় গ্রন্থাগার ও সাহিত্য সম্মেলন ২০২৩ উপলক্ষে রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ।

বই হচ্ছে মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বইপাঠের মাধ্যমে মানুষ স্বপ্ন দেখে। বইপাঠ মানুষকে অনন্ত সুখ ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়।’

এ সময় তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বই লেখকের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং স্বপ্ন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সঞ্চারিত করে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘জ্ঞানের এই অগ্রসরতাই সভ্যতাকে এগিয়ে নেয়।’ এ সময় তিনি বইপাঠের সাথে সাথে সবাইকে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটসহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করারও আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘আমরা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত, আলোকিত প্রজন্ম গড়ে তুলতে চাই। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা বর্তমানে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের মাধ্যমে ৮৭২টি পাঠাগারকে অনুদান প্রদান করছি এবং খুব দ্রুত এর পরিধি বৃদ্ধি করতে চাই।’

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পরীক্ষামূলকভাবে ১০০টি সেলুন লাইব্রেরি চালু করেছি যা পুরোপুরি সফল হয়েছে।’ তিনি বলেন, আমরা গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের ডিজিটালাইজেশন প্রকল্প হাতে নিয়েছি যেখানে সরকারি পাঠাগারের পাশাপাশি বেসরকারি গ্রন্থাগারসমূহও সংযুক্ত থাকবে।