বনবিভাগের জমি বিক্রির অভিযোগে আ.লীগনেতাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা
সাভারে ভুয়া দলিলের মাধ্যমে সরকারি জমি একটি আবাসন প্রকল্পের কাছে বিক্রি করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আওয়ামী লীগনেতাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গতকাল রোববার মামলা করেছে বনবিভাগ।
মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি)।
মামলার আসামিরা হচ্ছেন বিরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. হালিম (৬৩), তার ভাই আব্দুল মালেক (৭৪), ভাতিজা মো. মোক্তার হোসেন (৪৪), সহযোগী মো. কবির হোসেন হাওলাদার (৬৯) এবং আবাসন প্রতিষ্ঠান গ্লোরিয়াস ল্যান্ডস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের মালিক এ কে এম মজিবুল হক (৭৫)।
সিআইডি গতকাল রাতে আসামি মোক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর লাপাত্তা হয়ে গেছেন ওই আওয়ামী লীগনেতাসহ অপর আসামিরা।
ঢাকা বনবিভাগের কালিয়াকৈর রেঞ্জের বারোইপাড়া বিটের ফরেস্টার মো. শহীদুল আলম জানান, বিক্রি করে দেওয়া বনবিভাগের ওই জমির মূল্য দেড়শ কোটি টাকার অধিক।
সাভারের বিরুলিয়া এলাকায় বনবিভাগের প্রায় দুই একর সরকারি জমি ভুয়া দলিল বানিয়ে আবাসন প্রতিষ্ঠানটির কাছে বিক্রি করে দেন বিরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. হালিম ও তার সহযোগীরা।
সাভার সাব-বন বিটের আওতাভুক্ত কমলাপুর মৌজার সিএস ও এসএ ২২৩, ২৫৩ এবং আরএস ৬৪৪, ৬৪৬, ৬৪২ ও ৬৪৩ নং দাগের অন্যান্য সম্পত্তিসহ ১ দশমিক ৮২ একর জমির মালিক ও ভোগ দখলকারী ঢাকা বনবিভাগ। কিন্তু বিরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য গঠিত কমিটির সভাপতি আব্দুল হালিমসহ তার সহযোগীরা এই সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করার উদ্দেশে ভুয়া দলিল বানিয়ে সাভার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে উপস্থাপন করে আম-মোক্তার নামা দলিল সম্পাদন করে তা ঢাকার গ্লোরিয়াস ল্যান্ডস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের কাছে বিক্রি করে দেন।
সাভার মডেল থানার বিরুলিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘সিআইডি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে। একজন ধরা পড়ার পর অন্যরা এখন গা-ঢাকা দিয়েছেন।’