বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ দরকার : খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

Looks like you've blocked notifications!
নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ দরকার বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘দেশীয় বিনিয়োগে চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে সরকার চিন্তা করে বসে নেই, পরিকল্পনা করেছে, পরিকল্পনা এখন বাস্তবায়ন করছে। আগামী ২০২৬ ও ২০২৭ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের চিত্র পাল্টে যাবে। চট্টগ্রাম বন্দরকে সিঙ্গাপুর বানাতে চাই না, তবে আমাদের সিঙ্গাপুর হবে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর।

গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, এফবিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক ও পোর্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধান অঞ্জনশেখর দাশ, এটিএন বাংলার নির্বাহী সম্পাদক জ ই মামুন, বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু। বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) সহ-সভাপতি খায়রুল আলম সুজন বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

প্রবন্ধ উপস্থাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের বন্দরগুলোর কনটেইনার ও পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের তুলনা করলেই বন্দরের গুরুত্ব বোঝা যায়। সমুদ্রপথে দেশে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের ৯৩ শতাংশই হ্যান্ডলিং হয় এই বন্দর দিয়ে। আর কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয় ৯৮ শতাংশ। চট্টগ্রাম বন্দর শুধু প্রধান বন্দর নয়, কার্যত এককভাবে সমুদ্রপথে দেশের আমদানি-রপ্তানির বেশিরভাগই হ্যান্ডলিং হচ্ছে এই বন্দর দিয়ে। 

বন্দরের মূল সংস্কার ও আধুনিকতার পথে যাত্রা শুরু হয় মূলত এই শতকে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুমোদন হওয়া নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বাস্তব রূপ পায় ২০০৭ সালে। পাঁচ জেটির ৯৫০ মিটার লম্বা সবচেয়ে বড় এই টার্মিনালটি দিয়ে এখন বাণিজ্যের চাপ সামাল দেওয়া হচ্ছে। 

তবে ২০০৭ সালের পর নতুন টার্মিনাল চালু না হওয়ায় গত ১৪ বছরে তিনটি টার্মিনালের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। এসব টার্মিনালে সক্ষমতার চেয়ে বেশি কনটেইনার ও পণ্য হ্যান্ডলিং হয়েছে। এজন্য নিয়মিত সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।