বন্যায় লাভ হয়েছে, মানুষ সুনামগঞ্জকে আরও বেশি চিনেছে : পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, ‘সুনামগঞ্জের দিকে মানুষের নজর ঘুরেছে। এবারের বন্যায় সবচেয়ে লাভ হয়েছে সুনামগঞ্জের, আরও পরিচিত হয়ে উঠেছে। এটি আমাদের জন্য ভালো খবর। সবচেয়ে আনন্দের ব্যাপার হচ্ছে, মানুষের অংশগ্রহণ। মানুষের আয় বেড়েছে, এটি শেখ হাসিনার কৃতিত্ব, এই সরকারের কৃতিত্ব।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এমএ মান্নান বলেন, ‘গ্রামে গঞ্জে সাধারণ মানুষের আয় বেড়েছে। যারা মধ্যবিত্ত ছিলো তারা উচ্চবিত্ত হয়ে গেছে। হওয়ার (উচ্চবিত্ত) পরে তারা মানুষকে সহায়তা করতে পারছে। এমনি এমনি তো তারা (সাহায্য) করেনি। আগে মুখ ফিরাইয়া নিতো এখন মুখ ঘুরাইয়া আনে।’

এমএ মান্নান আরও বলেন, ‘এখন আমাদের দুটি কাজ ত্রাণ ও নির্মাণ। খাবার দেউ, পানি দেউ যাই দেউ আর বসতবাড়ি নির্মাণ। গ্রামীণ বসতঘরগুলোর ভয়ংকর একটা অবস্থা। গ্রামের ঘরগুলোর খারাপ অবস্থা, মেঝের খারাপ অবস্থা। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে চিন্তা করেছি গ্রামের ঘরে যেন অন্তত মেঝেটা পাকা থাকে এবং চারটি খুটি পাঁকা থাকা থাকে সেই ব্যবস্থা করার। আমরা হাজার হাজার পাকা খুঁটি তৈরি করবো সেখান থেকে চারটি-পাঁচটি খুঁটি দিয়ে মানুষের ঘর তৈরি করে দেবো। চার-পাঁচ ইঞ্চি সিসি ঢালাই দিয়ে ফ্লোর পাকা করে দিবো। এমন একটা প্রকল্প নিব।’

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বসতবাড়ির পরেই যেটা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটা হচ্ছে সড়ক। গ্রামীণ সড়কগুলো প্রায় শেষ, টোটালি বিধ্বস্ত। এইগুলাকে প্রাথমিকভাবে চলার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। হেটে হলেও যেন মানুষ চলতে পারে।’ এসময় তিনি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলীকে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের পুননির্মাণের জন্য প্রকল্প পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আরও বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবীর ইমন ও সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র নাদের বখত, র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল মো. কামরুল হাসান, র‍্যাব-৯ অধিনায়ক উইং কমান্ডার মো. মমিনুল হক, পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (সিলেট রেঞ্জ) নুরুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শওকত ওসমান,  সিও লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহবুবুর রহমান, সুনামগঞ্জ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট খায়রুল কবীর রুমেন ও সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুল আবেদীন এবং সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।