বসতবাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, খোলা আকাশের নিচে ২ পরিবার

Looks like you've blocked notifications!
নড়াইল সদর উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের দেবভোগ গ্রামের ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সালাম ও জামাল শেখের বসতবাড়ি। ছবি : এনটিভি

নড়াইল সদর উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের দেবভোগ গ্রামের সালাম ও জামাল শেখের বসতবাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার (৮ জানুয়ারি) দিনগত গভীর রাতে ওই গ্রামের সুফল বিশ্বাসের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ সোমবার (৯ জানুয়ারি) সদর থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সালাম ও জামাল শেখ।

বসতবাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কনকনে শীতের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে রয়েছে দুটি পরিবারের সদস্যরা।

ক্ষতিগ্রস্ত দুই ভাই সালাম ও জামাল শেখ জানান, প্রায় তিন বছর আগে দেবভোগ গ্রামের রাধাবল্লভ বিশ্বাসসহ তার তিন ভাইয়ের কাছ থেকে এক একর ২৬ শতক জমি কিনে নেন তারা। নিয়মানুযায়ী জমি রেজিস্ট্রেশন ও নামজারি সম্পন্ন হয়। তিন মাস আগে ওই জমিতে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। হঠাৎ করে গতকাল দিনগত রাতে রাধাবল্লভের ভাইপো সুফল বিশ্বাসের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তারা বসতঘর, রান্নাঘর ও বাথরুমসহ বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর করে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাড়িঘর ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়ায় কনকনে শীতের মধ্যে সালাম ও জামাল শেখের পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

সালাম ও জামাল শেখ এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে আজ সকালে সদর থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।

মোবাইল ফোনে অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে সুফল বিশ্বাস বলেন, ‘সালাম শেখ ও জামাল শেখের বাড়িতে আমার নেতৃত্বে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। কে বা কারা হামলা করেছে জানি না। আমি এখন যশোরে অবস্থান করছি। এই জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় আদালতে মামলা চলছে। এই ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ নিয়ে নিউজ করলে আমি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

তবে ক্ষতিগ্রস্ত সালাম শেখের ছেলে ইমন শেখ বলেন, ‘আজ দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকরা আসার ২০ মিনিট আগেও সুফল বিশ্বাস আমাদের লাঠি উঁচিয়ে ভয়ভীতি দেখান। তিনি যশোরে আছেন বলে মিথ্যাচার করছেন। ঘটনার সময় সুফল বিশ্বাস কোথায় অবস্থান করছিলেন তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতা নিলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা জানতে পারবে।’

এ ব্যাপারে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান জানান, অভিযোগের বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।