বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন প্রবীণ সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী

Looks like you've blocked notifications!
বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২১-এ গতকাল সোমবার ‘বিশেষ সম্মাননা’ গ্রহণ করেন এনটিভির ডিসট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ও প্রবীণ সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী (মাঝে)। ছবি : এনটিভি

বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডে ‘বিশেষ সম্মাননা’ পেয়েছেন সাতক্ষীরায় কর্মরত এনটিভির ডিসট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ও প্রবীণ সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবতরী হলে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে তাঁকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। পরিয়ে দেওয়া হয় উত্তরীয়; হাতে তুলে দেওয়া হয় সম্মাননা ক্রেস্ট, সম্মাননা সনদ এবং এক লাখ টাকার চেক।

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম, জুরি বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান এবং বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডের আহ্বায়ক সায়েম সোবহান আনভীর ও সুধীজনেরা।

বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে ১১ সাংবাদিককে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য পুরষ্কৃত করা হয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার তৃণমূল পর্যায়ের সাংবাদিকদের বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।

সুভাষ চৌধুরী অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিকদের এভাবে মূল্যায়ন করা হলে তাঁরা আরও বেশি অনুপ্রাণিত হতে পারেন। আমি এই সম্মাননা পেয়ে নিজে উজ্জীবিত হয়েছি এবং আমার কর্মপ্রেরণা আরও বেড়ে গেছে। বসুন্ধরা গ্রুপের এ ধরনের উদ্যোগ দেশের গুণী সাংবাদিক বাছাই করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পুরস্কার পাওয়ার জন্য নয়, নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে আমরা আরও এগিয়ে যাওয়ার সাহস খুঁজে পেয়েছি।’

সুভাষ চৌধুরী গত প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে টানা ৩৮ বছর শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন। বর্তমানে তিনি এনটিভির পাশাপাশি দৈনিক যুগান্তরের সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।

গুণী এই সাংবাদিক গণমাধ্যম জগতে প্রবেশ করেন দৈনিক বাংলার মাধ্যমে। পরে তিনি সাপ্তাহিক বিচিত্রা ও ভোরের কাগজে দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ‘সাতক্ষীরার ইসলামপুর চরে লাঠিয়াল বাহিনীর সন্ত্রাস’ লিখে খ্যাতি অর্জন করেন তিনি। পরে প্রভাবশালীদের রোষানলে পড়ে জেল খেটেছেন।

বর্তমানে ৭৪ বছর বয়সী এই সাংবাদিক নিজেই গড়ে তুলেছেন একটি তথ্যভাণ্ডার। অর্জন করেছেন জেলা কবিতা পরিষদ পুরস্কার, জেলা সাহিত্য পুরস্কার, জেলা শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা।

অনুসন্ধানী ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদন খাড়া করতে তিনি এখনও শহর ছেড়ে গ্রামাঞ্চলে গিয়ে খবরের ওপর অনুসন্ধান চালিয়ে থাকেন। তাঁর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সমসাময়িক রাজনীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সীমান্তে চোরাচালান, দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি, জলাবদ্ধতা, দেশের উন্নয়ন, নির্বাচন, শিক্ষা, কৃষি, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি।