বাংলাদেশের সীমানা থেকে আরও দূরে সরে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় অশনি

Looks like you've blocked notifications!
গতকাল সোমবার রাত ১১টা ও ১২টার দিকে ঘূর্ণিঝড় অশনি’র অবস্থান। ছবি : বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর

বাংলাদেশের সীমানা থেকে আরও দূরে সরে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। আবহাওয়া অফিসের বুলেটিন-১১ থেকে বুলেটিন-১২ এর মধ্যে দূরত্বের ব্যবধান বেড়েছে। আপাতত বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়ার শঙ্কা কম। আজ মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।

বুলেটিন-১২ তে আবহাওয়া অফিস জানায়, ঘূর্ণিঝড় অশনি আজ সকালে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

অন্যদিকে, বুলেটিন-১১ তে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল, ঘূর্ণিঝড় অশনি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝাড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।